গণমাধ্যম সংযোগ । জনসংযোগ নিউজ
দেশের গণমাধ্যমগুলোতে বেড়ে গেছে রাজনৈতিক প্রবণতা। অর্থাৎ বর্তমানে অনেক রাজনীতিবিদ রাজনীতিকে ধরে রাখতে পাশাপাশি হতে চাইছেন সাংবাদিক আবার এর উল্টোদিকেও অনেক সাংবাদিক তার সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে পাশাপাশি হতে চাইছেন রাজনীতিবিদ কিন্তু হচ্ছেনা কোনটাই, বরং তারা প্রত্যেকেই হয়ে যাচ্ছেন “রাংবাদিক”। এক কথায়- একইসাথে যারা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ তারাই হলেন রাংবাদিক। অন্যদিকে যিনি সাংবাদিক বা রাংবাদিক কোনটাই নন, অর্থাৎ যারা সাংবাদিক ও রাংবাদিক উভয়েরই উর্ব্ধতন কর্মকর্তার মত, তারাই সাংঘাতিক। সাংঘাতিকরা খবর পড়েনা, খবর দেখেনা, খবর লিখেনা কারন তারা নিজেরাই এক একটি খবর। তাদের কাছে একাধিক বা ততোধিক প্রেস আইডি কার্ড থাকে, তারা একইসাথে অনেকগুলো মিডিয়ায় কাজ করে। তারা একাধারে কোথাও সম্পাদক, কোথাও প্রকাশক, কোথাও চীফ রিপোর্টার আবার কোথাওবা ষ্টাফ রিপোর্টার। তাই বর্তমান বঙ্গসমাজের সবচেয়ে ভয়ংকর দুটি শ্রেণি হচ্ছে এই রাংবাদিক ও সাংঘাতিকরা, যারা দেশকে এগিয়েও নিচ্ছেনা আবার পিছিয়েও দিচ্ছেনা বরং তারা এ দেশকে থামিয়ে রেখেছে একটি নির্দিষ্ট সীমারেখায়। এদের হাত থেকে পরিত্রাণ জরুরি।
জনসংযোগ সম্পাদকের আমন্ত্রণে এ বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিতে দ্বিতীয়বারের মত বিলুপ্ত স্থান থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন নেকড়ে বাবু তথা ডায়ার উলফ। বিলুপ্ত হবার পর তিনি প্রথমবার পৃথিবীতে এসেছিলেন গত ৩০জানুয়ারি,২০২১ তারিখে আর কথা বলেছিলেন গণমাধ্যম এর নেকড়ে উদ্যোক্তাদের বিষয়ে; নিউজ লিংক- https://www.jonosongjognews.com/620 । জনসংযোগ সম্পাদকের আমন্ত্রণে তিনি পূঁণরায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। এবার তিনি কথা বলেছেন রাজনীতি ও সাংবাদিকতার ভারসাম্যহীন কিছু সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। জনসংযোগ পাঠকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-
———————————
নেকড়ে বাবুর সাক্ষাৎকার :
[১] জনসংযোগ সম্পাদক- কেমন আছেন ? দেশের প্রয়োজনে আবারও পৃথিবীতে আপনাকে সু-স্বাগতম ।
নেকড়ে বাবু- আমি বা আমরা বিলুপ্ত স্থানেই ভাল আছি, আপনার আমন্ত্রণে পৃথিবীতে এসে যতক্ষণ থাকি ততক্ষণই মানুষের ভয়ে থাকি, কখন তাদের তাড়া খাই তার কোন গ্যারান্টি নাই, তাই ভাল ছিলাম কিন্তু এই মূহুর্তে ভাল নেই। তবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
[২] জনসংযোগ সম্পাদক- মানুষ বড়ই বিচিত্র, আজব তাদের চরিত্র আবার মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। গত সাক্ষাৎকারে আপনি গণমাধ্যম উদ্যোক্তাদের নিয়ে অনেক মূল্যবান কথা বলেছিলেন। জনসংযোগ নিউজ এ তা প্রচার হওয়ার পর এ বিষয়ে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি, আপনিও প্রশংসিত হয়েছেন মানুষের কাছে। আশারাখি জনসংযোগ নিউজের মাধ্যমে নিয়মিত আপনার মূল্যবান কথা শুনতে শুনতে একসময় মানুষ আপনাকে শতভাগ ভালোবাসবে। তারা না বুঝে না জেনে আপনাকে আর তাড়া করবেনা। যাইহোক, এবার আলোচনা করব দেশের সাংবাদিকদের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। আপনার চোখে দেশের সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট কেমন মনে হচ্ছে ?
নেকড়ে বাবু- মোটেই ভাল নয়, ভয়াবহ অন্ধকারাচ্ছন্ন, বিশেষকরে কৌশলী রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বড্ড হতাশায় আছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। যতই দিন যাচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকদের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে আর সাংঘাতিক ও রাংবাদিকদের সংখ্যা তারচেয়েও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল কারনে সাধারণ মানুষ দিক হারিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী ঝুকে যাচ্ছে। এখানে তারা যা দেখছে তাই বিশ্বাস করছে আবার মুহুর্তে সেগুলোকেই অবিশ্বাস করছে, আবার ট্রলও করছে । এরপর আবার বিশ্বাস করছে, আবারও অবিশ্বাস করছে, এমনকি আবারও ট্রল করছে । আর এভাবেই সুস্থ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের অভাবে মানব জীবন তার স্বাভাবিক ছন্দ হারাচ্ছে।
[৩] জনসংযোগ সম্পাদক- এমন প্রেক্ষাপট কেন হল ? এর জন্য আপনি প্রধানত কাদেরকে দায়ী করবেন ?
নেকড়ে বাবু- আমি এর জন্য রাজনৈতিক প্রভাবকেই প্রধানত দায়ী করব। সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশের মূল ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করে রাজনীতিবিদরাই। তবে ক্ষমতার আরেকটি অন্যতম সাইট হচ্ছে গণমাধ্যম। যোগ্যতার ভিত্তিতে পেশাদার সাংবাদিকরা রাজনীতিবিদ সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিশেষ মূল্যায়ন পেয়ে থাকে। নিজ বা দলীয় স্বার্থে একমাত্র রাজনীতিবিদরাই তাদের এই বিশেষ মূল্যায়নকে বিশেষভাবে যথাক্রমে ইউজ, মিছইউজ এবং এবিউস করে থাকে বা করার চেষ্টা করে এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সফল হয়। এক্ষেত্রে যেসকল রাজনীতিবিদরা একইসাথে এক বা একাধিক গণমাধ্যমের মালিক থাকে তারা এ ব্যাপারে শতভাগ সফল হয়ে থাকে। পেশাদার সাংবাদিকরা সৎ ও নির্ভীক থাকায় তারা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই দূর্বল থাকে বিধায় রাজনীতিবিদরা খুব সহজেই এদের দূর্বলতাকে ব্যবহার করতে পারে কারন চাকরী বাঁচানোর তরে তারা রাজনীতিবিদদের কাছে ধরাশায়ী থাকে। জৈবিক হয়রানি হওয়া স্বত্বেও এখনও অনেক পেশাদার সাংবাদিকগণ নীতির সঙ্গে আপোষ না করে নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখেছেন ঠিকই কিন্তু বর্তমানে অনেক পেশাদার সাংবাদিক আরও নীতি যোগ করে অতিনীতিবান হয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছেন রাজনীতিবিদদের ছায়াতলে। সময়মত বেতনভাতা না পাওয়ায় তারা নিজ নিজ হাউসে চাকরীর পাশাপাশি কমার্শিয়ালি বিভিন্ন নেতাদের গণমাধ্যম বিষয়ক বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজ করে দিচ্ছেন, এমনকি দলীয় পদপদবীও নিচ্ছেন আর নেতাও বনে যাচ্ছেন। আর এভাবেই অনেক পেশাদার সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছেন ‘রাংবাদিক’, যাদের মাঝে দ্বৈত উদ্দ্যেশ্য বিদ্যমান থাকে। অত:পর যা হবার কথা বর্তমানে তাই হচ্ছে।
[৪] জনসংযোগ সম্পাদক- কিন্তু রাজনীতিবিদদের মাঝ থেকেও অনেকেই রাংবাদিক হচ্ছেন; তাদের দূর্বলতা ও উদ্দ্যেশ্য কি?
নেকড়ে বাবু- রাজনীতিবিদদের সময়ে ক্ষমতায় আবার সময়ে ক্ষমতার বাহিরে থাকতে হয়। তাদের দূর্বলতা আরও বেশী। যেকোন রাজনীতিবিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল হল পেশাদার সাংবাদিকের ছায়াতল। একজন পেশাদার সাংবাদিকের সার্বিক সহযোগীতায় একজন নেতার রাজনৈতিক জীবনে সূর্য উদয়ও হতে পারে আবার বিশেষ নিরবতায় অস্তমিতও যেতে পারে। পেশাদার সাংবাদিক মানেই শতভাগ উচ্চশিক্ষিত হবেই কিন্তু রাজনীতিবিদ মানেই শতভাগ উচ্চশিক্ষিত নয়। এদেশে ননমেট্রিক নেতারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজীর আছে কিন্তু ননমেট্রিক ব্যক্তির পেশাদার সাংবাদিক হওয়ার নজীর নেই। একজন পেশাদার সাংবাদিক সবসময়ই যেকোন রাজনীতিবিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে কিন্তু ক্ষমতার পালাবদল সহ অন্যান্য অনেক কারনেই একজন রাজনীতিবিদের গুরুত্ব একজন পেশাদার সাংবাদিকের কাছে সবসময় সমান থাকেনা। এখানেই রাজনীতিবিদরা তাদের কাছে অনেকটাই ধরাশায়ী। অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক রাজনীতিবিদরা সমসময়ই চায় যেকোন লেবেলে তাদের মূল্যায়ন সমসময় অটুট থাকুক। ফলে অনেক নেতৃবৃন্দই রাজনীতিবিদ হিসেবে যখন এই মূল্যায়ন পেতে বা ফায়দা লুটতে ব্যর্থ হয় তখনই তারা সাংবাদিক হিসেবে তা পেতে অনেকটাই সফল হয় এমনকি নিরাপদেও থাকে। আর এসব কারনেই অনেক রাজনীতিবিদ হয়ে যাচ্ছেন ‘রাংবাদিক’, যাদের মাঝে দ্বৈত উদ্দ্যেশ্য বিদ্যমান থাকে। অত:পর যা হবার কথা বর্তমানে তাই হচ্ছে।
[৫] জনসংযোগ সম্পাদক- আপনার মতে কোন শ্রেনীটি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরুপ; রাংবাদিক? নাকি সাংঘাতিক? নাকি পেশাদার সাংবাদিকদের নিস্ক্রিয়তা?
নেকড়ে বাবু- সাংঘাতিকরা আরও ভয়াবহ, এরা প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের চলার পথে পেশাঘাতী ভাইরাস।সকল শ্রেণীর পেশাদারদের জন্যই এরা হুমকি স্বরুপ।এরা না বুঝে রাজনীতি, না বুঝে সংবাদনীতি; এদের নেই কোন আত্নসম্মান, এরা কাউকে দিতেও পারেনা যথাসম্মান।এদের টার্গেট একটাই তা হল- ধান্ধাবাজী আর শ্লোগান হল- ওই চিনস আমারে?
আপাতদৃষ্টিতে পেশাদার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে যা দেখা যায় তা তাদের নিস্ক্রিয়তা নয় বরং অসহায়তা। তাদের তেজস্ক্রিয় হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই কারন তারা এদেশে ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন। এ দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকারের ঘোষণা বিদ্যমান কিন্তু অঘোষিত পরাধীনতা চলমান। সবশেষে ‘সরকারই শক্তি, গণমাধ্যম পরাশক্তি’ এটা নেকড়ে বাবুর অভিব্যক্তি।
[৬] জনসংযোগ সম্পাদক- চমৎকার বলেছেন কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি ?
নেকড়ে বাবু- কেন অযথা পরিত্রাণের কথা ভাবছেন? বরং এরই মাঝে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিন।আবেগ নয় বরং সময়কে অনুসরণ করুন।নিজের জ্ঞান,বুদ্ধি,বিবেচনা ও বিশ্লেষণে সঠিকটা বুঝে পথ চলুন।এসব থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে- নিজের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করুন যেন নিজেকে চিনতে পারেন। শুধু ভাল মানুষ হলেই চলবেনা সাথে ভাল বুদ্ধিও অর্জন করুন, যেন সঠিক সময় সঠিক কথাটি বলতে পারেন। যদি উন্নত দেশই চাইবেন তবে প্রতিকুলতাকে মোকাবিলা করতে কেন ভয় পাবেন? চোখের সামনে যা ঘটছে তাই স্বাভাবিক বরং যা ঘটবে বলে আশা করছেন তাহাই অস্বাভাবিক। অপ্রিয় সত্য হল- যেকোন রাজনৈতিক দলের কাছে দল ও দলীয় নেতাকর্মী আগে, দেশ ও জনগণ পরে। ঠিক তেমনি যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের কাছে দায়িত্ব ও সত্য আগে; সরকার ও রাজনীতি পরে।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমাকে আজকের মত ছেড়ে দিন। এসব কথা বলার পর আমার আর পৃথিবীতে অবস্থান করা নিরাপদ মনে হচ্ছেনা। যেকোন সময় সংশ্লিষ্টরা এসে দল বেঁধে আমাকে তাড়া করতে পারে। আমি চললাম বিলুপ্ত স্থানে। ভাল থাকবেন সম্পাদক, সফল হোক জনসংযোগ নিউজ।
জনসংযোগ সম্পাদক- যথার্থ বলেছেন। আজকের মত বিদায়।ভাল থাকুন বিলুপ্ত স্থানে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
সা:স:/জ:নি:/০২
নেকড়ে সম্পর্কে আমাদের অল্প যা কিছু জানা উচিত :
নেকড়ে সম্পর্কে মানুষের আতঙ্ক দীর্ঘকালের৷ তাই নেকড়ে মারতে দ্বিধা নেই অনেকের৷ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নেকড়েরা বুদ্ধিমান এবং সামাজিক প্রাণী, যারা অনেক প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে টিকে আছে৷ নেকড়ে দল খুব কঠোরভাবে নেতৃত্ব মেনে চলে। শিকার ধরার পর দলপতি এবং তার সঙ্গী প্রথমে খায়। তারপরে ক্রমান্বয়ে বাকিরা খাবারের ভাগ পায়। একা থাকলে তার বাকি সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং দলের সঙ্গে থাকলে অন্য দলকে তাদের সীমানা সম্পর্কে সাবধান করতে গর্জন করে। এরা শিকারের জন্য সময়ের বাছ-বিচার করে না। ছয় থেকে দশটি প্রাণী মিলে একটি দল গঠন করে। এরা সবাই এক সঙ্গেই শিকার ধরে। সুত্র-কলকাতা থেকে প্রকাশিত- “বাংলার শিকার প্রাণী” গ্রন্থ ।
নেকড়েরা তাদের সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে বলে কথিত আছে। তবে এটাও স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে ‘আলফা মেল’ নেকড়েদের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে । ডায়ার উলফ (Canis dirus, ভয়াবহ নেকড়ে) হচ্ছে Canis বর্গের একটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতি। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাগৈতিহাসিক মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম । ডায়ার উলফ লেট প্লাইস্টোসিন এবং আর্লি হলোসিন যুগে (১,২৫,০০০)বছর পূর্বে আমেরিকা মহাদেশে পদচারনা করে বেড়াতো। প্রজাতীর নামকরণ করা হয় ১৮৫৮ সালে, প্রথম নমুনা পাওয়ার চার বছর পরে। সূত্র- উইকিপিডিয়া ।
পাঠকের মন্তব্য