জনসংযোগ প্রতিবেদন । এম আনিছুর রহমান
[১] রাজনীতি করতে হলে অনেক সেক্রিফাইস করতে হয়। অনেকের পড়াশুনা লস হয়, অনেকের ক্যারিয়ার লস হয়, আবার অনেকের ব্যক্তিগত জীবনও কিন্তু লস হয়। তারপরও কিন্তু তারা রাজনীতিটা করে। এখানে কেউ সফল হয়, কেউ বা ব্যার্থ হয়। দেখা যায় হাজার হাজার কর্মীবৃন্দের মাঝ থেকে হয়তবা দুই/এক জন লিডারশীপে আসতে পারে। অনেক সময় রাজনীতিবিদরা সোসাইটিতে কিন্তু বিশেষভাবে মূল্যায়িত হয়না; তাদের সম্পর্কে অনেক রকমের কথা তৈরি করা হয়। তারপরও মানুষের উপকারে কিন্তু সবশেষে রাজনীতিবিদরাই বিশেষভাবে এগিয়ে আসে। আবার তাদেরকেই কথাও বেশী শুনতে হয়। বর্তমান সোসাইটিতে অনেক ভাল মানুষ কিন্তু রাজনীতি করতে চায়না আবার অনেক ভাল মানুষ রাজনীতি করে। সার্বিক বিবেচনায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দেয়াটা আমার নিকট অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বরাবরের মত এবারও আমার ঈদের দিনটি কেটেছে সারা দেশের রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
[২] বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব আফজালুর রহমান বাবু গত ৪মে,২০২২ তারিখ বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের জিমনেসিয়াম এ নিজ উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি লগ্নে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের এক পর্যায়ে জনসংযোগ নিউজের সাথে একান্ত আলাপনে এভাবেই রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটগুলো তুলে ধরেন। জেলা রাজনীতির প্রাঙ্গণে এই প্রথম কোন কেন্দ্রীয় নেতা এতো বিশাল পরিসরে ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সংশ্লিষ্টদের মতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে এই আয়োজন স্বরনীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক সেবা,শান্তি,প্রগতির শ্লোগান নিয়ে যে সকল নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে দেশমাতৃকার সেবায় এগিয়ে এসেছে তিনি তাদের প্রত্যেককে ঈদ শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ জানান। বিশেষভাবে করোনাকলীন সময়ে যারা মৃত্যু ভয়কে জয় করে করোনা রোগীদের সরাসরি সেবা দিয়েছে, এমনকি লাশ দাফনেও অংশ গ্রহণ করেছে সে সকল সেচ্ছাসেবীদের প্রতি তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
[৩] শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের সাথেই নয় বরং নগদ টাকা সহ নিত্য প্রয়াজনীয় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিতরনের মাধ্যমে গরীব ও অসহায় মানুষদের সাথেও তিনি সরাসরি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। পুরো রমজান মাসে জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ইফতার বিতরনের পাশাপাশি ঈদ সামগ্রী বিতরনের মাধ্যমে যে সকল নেতাকর্মীরা গরীবের ঈদ উৎসবকে উচ্ছাসে পরিণত করেছে তাদেরকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।
[৪] জনাব আফজালুর রহমান ইতিমধ্যেই ময়মনসিংহের সদর আসনের মানুষের মাঝে অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও তার একইরকম জনপ্রিয়তা বিদ্যমান। এই জনপ্রিয়তা দিনকে দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে- সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ময়মনসিংহ সদর আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। ময়মনসিংহের সদর উন্নয়ন ও সদরবাসীর প্রতি তার একান্ত মনোভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ময়মনসিংহ সদর একটি অবহেলিত জায়গা; এখানে বর্তমানে যিনি সংসদ সদস্য আছেন তিনি নি:স্বন্দেহে একজন অনেক বড় মাপের নেতা। তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তিনি ততটুকু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তবে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারনে তিনি স্থানীয় চরাঞ্চলগুলোর দিকে খুব একটা মনোযোগী হতে পারেননি। আশাকরি তিনি সুস্থ হলে অবশ্যই এই বিষয়ে মনোযোগী হবেন। পাশাপাশি আমরা যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি তারা যেন এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। বিশেষ করে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী ও এমপিওভুক্তি করন, হাসপাতালের বেড বাড়ানো, শহরের রাস্তাঘাট উন্নয়ন এর ব্যাপারে তিনি সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। যেহেতু বর্তমান পার্লামেন্ট মেম্বার দীর্ঘ দিন যাবৎ গুরুতর অসুস্থ সেহেতু সকলে মিলে দায়িত্ব নিয়ে এই শহর উন্নয়নে একসাথে কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা চান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক- উত্তম চক্রবর্তী রকেট, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক- শাহরিয়ার মোহাম্মদ রাহাত খান, জেলা যুবলীগ কর্মী ফারুক হোসেন এবং জেলা যুবরত্ন” শফিকুল হক শুভ।
[৫] আফজালুর রহমান বাবু স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এনামুল হক শামীম এবং ইসহাক আলী খান পান্না কমিটির। এরপর বাহাদুর বেপারী ও অজয় কর খোকন কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন । সাবেক এই ছাত্রনেতা সবশেষ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
[৬] স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও গত ২৫ বছরে হয়েছে মাত্র দুটি। সবশেষ ২০১২ সালে হয় দ্বিতীয় কমিটি। সাত বছর পর নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে জনাব আফজালুর রহমান বাবু আওয়ামী এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জ: প্র:/জ:নি:
Email- desk@prnews1.com / jonosongjognews@gmail.com / fb.com- prnews1.com.bd.
পাঠকের মন্তব্য