। জানা অজানা ডেস্ক ।
হিটলার ছোট বেলায় তার খেলার সাথীদের বলতেন তোমরা যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট বলে স্লোগান দাও তাহলে আমি তোমাদের মিষ্টি খাওয়াব। হিটলারের বন্ধুরা তখন হিটলারকে প্রেসিডেন্ট বলে স্লোগান দিতে লাগল। হিটলার সবাইকে মিষ্টির দোকানে নিয়ে গেলেন,সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন।কিন্তু দোকানদার যখন মিষ্টির বিল চাইলেন তখন হিটলার বললেন -দেখেন না ? ওরা আমার নামে স্লোগান দিচ্ছে,আমি এই দেশের প্রেসিডেন্ট ! প্রেসিডেন্টের মিষ্টির বিল দেয়া লাগেনা।
হিটলার পরে যখন জার্মানির প্রেসিডেন্ট হয়ে ছিলেন তখন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন- প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার প্রথম কাজ কি? তখন হিটলার হাসতে হাসতে বলেছিলেন- সর্ব প্রথম কাজ হচ্ছে সেই মিষ্টিরদোকানের বিল পরিশোধ করা যে দোকানের মিষ্টি খাইয়ে আমি প্রেসিডেন্ট হতাম এবং ছোট বেলায় আমি বিল
না দিয়ে চলে এসেছিলাম। হিটলার ১৯১৪ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। এর পর তিনি লেবার পার্টিতে যোগ দেন,১ বছরের মাথায় তিনি মেধার জোরে লেবার পার্টির প্রধান হন।পরে এই লেবার পার্টির নাম পরিবর্তন করে নাৎসী পার্টি রাখা হয়।
হিটলার লেবার পার্টির প্রধান হলে এই দলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে,লেবার পার্টির বিরোধীরা হিটলারকে এজন্য জেল খাটায়, ১ বছর পর তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি রাস্তায় রাস্তায় দাড়িয়ে ভাষণ দিতেন, এই ভাষণ মানুষ মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনত, ঘন্টার পর ঘন্টা হিটলার ভাষণ দিতেন, কিন্তু মানুষের কাছে মনে হতো এই বুজি ১ মিনিট হল।হিটলারের জনপ্রিয়তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল।হিটলার স্ব্প্ন দেখালেন পুরো পৃথিবী শাষণ করবে জার্মান। হিটলার সাধারন সৈন্য থেকে হয়ে গেলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট। হিটলার বিখ্যাত হয়েছিলেন ৬০লক্ষ ইহুদী মেরে। কিন্তু হিটলার এক ইহুদীকে কাছে পেয়েও হত্যা করেনি। সে হল হিটলার পরিবারের পারিবারিক ডাক্তার ,যিনি হিটলারের বাবা মারা গেলে হিটলার পরিবার থেকে কোন চিকিৎসার ফি নিতেন না। হিটলার এ জন্য এই ইহুদীকে পবিত্র ইহুদী খেতাব দেন। টাইটানিক জাহাজের মৃত্যু যেমন বরফের আঘাতে হয় তেমনি হিটলারের মুল শক্তির মৃত্যু এই বরফের কারনে হয়। হিটলার যখন রাশিয়া আক্রমন করে তখন জানতেন না রাশিয়ায় রাত হলে তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে চলে আসে। রাশিয়া আক্রমন করতে গিতে হিটলারের লক্ষ সৈন্য তুষারপাতে মৃত্যুবরণ করেন।
হয়তো আজ ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হত, হিটলার হতেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীর।হিটলার কিলিং মেশিং হলেও হিটলারের জীবনে প্রেম এসেছিল। লাইলী-মজনু, রোমিও-জুলিয়েটের সাথে হিটলার-ইভা ব্রাউনের নাম উচ্চারিত হয়। পারিবারিক সমস্যা ও বাধার কারনে হিটলের দীর্ঘ জীবনের প্রেম বিয়েতে পৌঁছায়নি। কিন্তু মৃত্যুর দু- এক ঘন্টা আগে তাদের বিয়ে হয় ।
সোভিয়েত বাহিনী যখন হিটলারকে ঘিরে ফেলে তখন হিটলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ধরা দিবেন না, আত্নহত্যা করবেন। তিনি ইভা ব্রাউনকে পালিয়ে
যেতে বলেন,কিন্তু ইভা ব্রাউন তার ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে যেতে রাজি হয় না। হিটলার বাংকারে বসে নিজের মাথায় নিজে গুলি করে।
ইভা ব্রাউন বিষ পান করে ভালবাসার মানুষের চলে যাওয়া পথ অনুসরন করেন।হিটলার ছিলেন লৌহ মানব,কিলিং মেশিন,একজন যোদ্ধা, একজন প্রেমিক।হিটলার প্রেম ও যুদ্ধ দুটো নিয়েই খেলেছেন। তাই এ দুটো সম্পর্কে হিটলারের চেয়ে বেশি কেউ জানে না।
তাই হিটলার বলেছেন-
যুদ্ধ কর,প্রেম কর না। কারন যুদ্ধ করলে হয় তুমি বাঁচবে, না হয় তুমি মরবে কিন্তু প্রেম করলে তুমি না পারবে বাঁচতে, না পারবে মরতে।
(সংগৃহীত )
Courtesy -Uttara.Tv
jonosongjognews@gmail.com
fb.com- @prnews1.com.bd