জনসংযোগ প্রতিবেদন । এম আনিছুর রহমান
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আওয়ামী রাজনীতির ঘাাঁটি বলে খ্যাত ময়মনসিংহ মহানগরের ১৩,১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২। গতকাল ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় দায়িত্বশীল আওয়ামী নেতৃবৃন্দের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বিকেল ৩:০০ ঘটিকায় শুরু হয়ে বিকেল ৫:৪৫ মিনিটে শেষ হয় উৎসবমুখর এ সম্মেলন। সম্মেলনে প্রবীনদের পাশাপাশি নবীনদের উপস্থিতি ছিল বেশ নজরকাড়া। প্রার্থীতার ক্ষেত্রেও ছিল একই চিত্র।
উক্ত সম্মেলনকে ঘিরে জনসংযোগ নিউজের এবারের অনুসন্ধানটি ছিল একটু ভিন্ন আঙ্গিকের। গতানুগতিক প্রার্থীদের চেয়ে ত্যাগী আওয়ামী প্রার্থীদের দিকেই ছিল জনসংযোগ নিউজের তৃণমূল অনুসন্ধান। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর সম্মেলন প্রস্তুতির শেষ মূহুর্তে পাওয়া গেল ত্যাগী ও নি:স্বার্থ আওয়ামী পরিবারের একজনকে, যিনি ময়মনসিংহ মহানগরের ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। তার নাম মাজহারুল হক ঝন্টু। তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ ও পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত আছেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন।
জনসংযোগ নিউজের সাথে একান্ত আলোচনায় তিনি তুলে ধরেন তার নিজস্ব কিছু অভিব্যক্তি। তিনি জানান ‘‘আমি সেবার জন্য নেতৃত্বে আসতে চাই, ভোগের জন্য কখনই নয়‘‘। বিশেষ করে, আমরা যারা ওয়ান ইলেভেন সহ অতীতের সকল দু:সময়ে দলের পাশে ছিলাম তাদের মাঝ থেকে অনেকেই অভিমানী হয়ে দলীয় কর্মসূচীর বাহিরে আছেন। তারা বাহিরে আছেন বলেই আজ তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তারা; যাদেরকে নব্য বা হাইব্রীড আওয়ামীলীগার বলা হয়। সফলতার চূড়ায় অবস্থান করলেও দল আজকে কিছুটা হলেও তাদের জন্য ছন্দ হারিয়েছে। এমতাবস্তায় আসছে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও গতিশীল করে জননেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয়ে সকল ত্যাগী ও নি:স্বার্থপরায়ণ নেতাকর্মীদের উচিত; অভিমান ভেঙ্গে ঘর থেকে বেড়িয়ে আবারও দলের তরে জাগ্রত হওয়া। জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই বলেছেন- ত্যাগীরা অভিমানী হতে পারে কিন্তু বেইমান কখনও হতে পারেনা। জননেত্রীর এই কথাটি আমি প্রতি মুহূর্তে স্বরণ করি আর সে প্রত্যয় নিয়েই মূলত আমার এই প্রার্থীতা হওয়া। আমি দৃঢ়চিত্তে আশাবাদ ব্যাক্ত করি শুধু এই সম্মেলনেই নয় বরং এর পরবর্তীতে সারা দেশে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিটি সম্মেলন পরবর্তীতে চূড়ান্ত কমিটি ঘোষনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল নেতৃবর্গ বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখবেন।
মাজহারুল হক ঝন্টু উত্তরাধিকার সূত্রেই একটি আপামর আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তারা পিতা মরহুম আজহার আলী ছিলেন ১৩নং ওয়ার্ডের একজন সফল নির্বাচিত কাউন্সিলর। চাচা জাহাঙ্গীর আলম সবুজ ছিলেন একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবার তাদেরই উত্তরসূরী হিসেবে তিনি এসেছেন নেতৃত্ব লাভের এই লড়াইয়ে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতৃবর্গ সহ স্থানীয় সকল নেতাকর্মীদের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি মনে করেন- ত্যাগী নেতাকর্মীরা আবার জাগ্রত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন শতভাগ বাস্তবায়িত হবে অতিশিঘ্রই।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল (এম,পি)। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং ; ম.সি.ক মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন। এছাড়াও জেলা ও মহানগর পর্যায় সহ স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামী নেতৃবৃন্দের প্রায় সকলেই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
রা:স:/জ:নি:/২২মে,২০২২
পাঠকের মন্তব্য