সম্পাদকীয় / জনসংযোগ .কম / ২৭-০৩-২০২০
। এম আনিছুর রহমান ।
“ আমেরিকার সুবিখ্যাত সিএনএন নিউজ চ্যানেল অনুযায়ী, চীনের বিখ্যাত করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. লি ওয়েনলিয়াং মৃত্যুর পূর্বে বলে গিয়েছেন, তিনটি কেমিক্যাল Methylxanthine, Theobromine এবং Theophylline করোনা ভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে, এবং এই তিনটি কেমিক্যালই চা’ এর মধ্যে আছে । তাই কেউ যদি দিনে ৩-৪ কাপ চা খায়, তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই অথবা আক্রান্ত হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যাবে । এই সত্যি কথাটা ড. লি ওয়েনলিয়াং করোনা রোগীদের কেস ষ্টাডি করে আবিষ্কার করেছেন এবং একটা ডকুমেন্টারী তৈরি করে গেছেন ও করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় বলে গেছেন । সত্যি কথা বলার জন্য চীনা সরকার ড. লি ওয়েনলিয়াং কে শাস্তি দিয়েছিল এবং দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, ভাইরাস নিয়ে গবেষনা করতে যেয়ে তিনি নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান । চায়ের মধ্যে যে ক্যাফেইন থাকে, সেটাই Methylxanthine, আর অন্য দুটো একই ধরনের কেমিক্যাল চা থেকেই পাওয়া যায় । চীনের উহান প্রদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের তাই দিনে ৩-৪ বার করে চা খাওয়ানো হত এবং আজ চীন প্রায় করোনা মুক্ত দেশ “ ।
উল্লেখ্য, এই তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমানে বেশ ভা্ইরালই বলা চলে । একজন এতবড় মাপের ডক্টর ও গবেষক কখনই এমন ভুল তথ্য দিয়ে যেতে পারেননা । অন্যদিকে তিনি যদি করোনার মুক্তির এই উপায়টি গবেষনায় প্রমাণ পেয়েই থকেন, তবে তিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন কেন ? নিয়মিত চা খেলেইত তার বেঁচে থাকার কথা । হয়ত এই তথ্যটিও বিচিত্র জগতের বিচিত্র খবর ।
যাইহোক, সৃষ্টিজগতে ঘটিত প্রতিটি বিষয়েই বিধাতা অবগত থাকেন, সবই তার ইচ্ছা তা আমারা জানি ও বিশ্বাস করি, এটাই আমাদের ধর্ম কিন্তু প্রতিটি কর্ম তৎপরতার পিছনে কোন না কোন কারণ অবশ্যই থাকে । পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি ও বিশ্বক্ষমতার প্রদর্শন করতে যেয়েই এই করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটেছে ।
করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের আবিষ্কার ! বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের শেষ নেই। অনেকের ঘুম হারাম। চীনাদের ওপর প্রকৃতির শাস্তি, তাদের কৃতকর্মের কুফল আর আজগুবি সব তত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত হতে গিয়ে আমরা এ ঘটনার গভীরেই যেতে চাইনি ! কিন্তু এসব পাশে রেখে সত্যি অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন বিশ্ববিখ্যাত এক সাংবাদিক। স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রেরই অনুসন্ধানী সাংবাদিক দিলেন এ বিষয়ে চমকপ্রদ ব্রেকিং। তিনি বলছেন, আজকের যে ভাইরাস নিয়ে গোটা পৃথিবীর বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রনেতাদের উৎকণ্ঠা, সেই করোনাভাইরাসের জন্ম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সাংবাদিক সাদ ওলসোন; যিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার লাভ করেছেন, তিনি ‘দ্য সাদ ওলসোন শো’-তে এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তারই আলোকে সমকালে একটি রিপোর্ট হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. রালফ ব্যারিক ২০১৫ সালের নভেম্বরে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন ‘নেচার মেডিসিনে’। বিজ্ঞানী রালফ চীনের ঘোড়া বাদুড়ের লালা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এক ধরনের ভাইরাস সক্রিয় গবেষণা শুরু করেন। যার বৈজ্ঞানিক নাম দেন এসএইচসি-০১৪। তিনি কাজটি করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থথ ক্যালিফোর্নিয়াতেই।
নেচারের ওই গবেষণাপত্র দেখে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছিলেন অণুজীব বিশেষজ্ঞ রিচার্ড এডব্রাইট। তিনি জানিয়েছিলেন যে, কোনো কারণে ভাইরাসটি গবেষণাগার থেকে পালিয়ে লোকালয়ে চলে গেলে সেটি মানবজাতি এবং অন্য অনেক প্রাণিকুলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। ভয়ংকর পরিণতির আভাস পেয়ে এ গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ স্থগিত করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। তবে থেমে থাকেননি ড. রালফ। এই বিজ্ঞানী নিজের গবেষণার নমুনা নিয়ে চলে যান চীনের উহানে ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে; যেটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অণুজীব গবেষণাগার।সেখানে তিনি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কোনো এক অসতর্ক মুহূর্তে ওই ভাইরাস গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ে লোকালয়ে। আর, সেই ভাইরাস এখন পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর রূপে নাড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বকে।
অর্থাৎ করোনা ভাইরাস বিষয়টি একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা, যদি তা সফল হত তাহলেও বিশ্ব মহাকর্তাদের সুপরিকল্পনায় বিশ্বব্যাপী ধ্বংসলীলা চলত পরিকল্পিতভাবে আর পরিকল্পনা ও গবেষনার সফলতার পূর্বেই অসতর্কতার দরুণ ল্যাব থেকে ভাইরাসটির লোকালয়ে চলে আসাতেও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসলীলা হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে, যা এভাবে হওয়ার কথা ছিলনা হয়ত ।
প্রশ্ন হচ্ছে- তাহলে ড. লি ওয়েনলিয়াং কে চীনা সরকার কেন দন্ড দিল ? এর উত্তর হিসেবে বলা যেতে পারে- কারণ তিনি এই ভাইরাস থেকে মানবকূলকে রক্ষার জন্য এন্টি গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন হয়ত, এবং তিনি সফলও হয়েছিলেন এবং সত্যটা বলে দিয়েছিলেন, তাই বিশ্ব মহাকর্তাদের মহাপরিকল্পনার ছন্দপতন ঘটেছিল । বিশেষ প্রশ্ন হচ্ছে - ড. লি ওয়েনলিয়াং কি সত্যি শুধুই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল ? নাকি তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল ?
এসব প্রশ্নের উত্তর এখন না মিললেও মিলতে বেশীদিন লাগবেনা । হয়ত অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র । যদি ঘটনা সত্য হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কে বিশ্ব মানবতার নিকট চরম মূল্য দিতে হবে । আর যদি এই ঘটনা সত্য নাও হয় তবুও নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছুই নেই, কারণ বিশ্বশক্তির প্রদর্শন এখন পরমাণু নির্ভর হয়ে গেছে, হয়ত সামনে আরও ভয়ঙ্কর বার্তা আসছে । এ কথাটি বিলগেটস ২০১৫ সালেই একটি বক্তব্যে বলেছিলেন যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কোন ডাল তলোয়ার দিয়ে হবেনা, কোন ধর্মকে পুঁজি করেও হবেনা, হবে পরমাণু প্রযুক্তির মাধ্যমে, অদৃশ্য ভাইরাসই হবে প্রধান হাতিয়ার । মাত্র পাাঁচ বছরের মাথায় আমরা এর প্রমাণ দেখছি করোনা ভাইরাস এর মাধ্যমে ।
যাইহোক শেষ কথা হচ্ছে, করোনা থেকে মুক্তি মিলোক আর নাই মিলোক আমাদের চা পানে ত আর বাধা নেই ! হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে নরমালি সবাই চা একটু বেশীই পান করছেন বর্তমানে, যদি পরবর্তীতে সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, চা-ই করোনার অন্যতম ভ্যাকসিন তাহলে বর্তমানে যারা চা একটু বেশী বেশী খাচ্ছেন তারাই লাকী নাম্বার ওয়ানলিষ্টে তালিকাভুক্ত হবেন । তবে কোন দুধ ও চিনি দিয়ে চা ফু দিয়ে খাওয়া নয়, ডিরেক্ট লিকার চা হতে হবে ।
বি:দ্র:- বিশ্বস্বাস্থ সংস্থা WHO এর নির্দেশনা আছে কিছুক্ষণ পরপর কুসুম গরম পানীয় পানে, যেমন- চা,কফি,পানি । এতে যদি গলায় করোনা ভাইরাস বসতি গড়ে তাহলে তা ধীরে ধীরে পাকস্থলিতে নেমে আসে । আর একবার যদি এই ভাইরাস মানব পাকস্থলিতে গিয়ে পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার কেল্লাফতে হয়ে যায়, কারন মানব পাকস্থলির রাসায়নিক গ্যাস তাকে সহজেই মেরে ফেলতে সক্ষম । উল্লেখ্য- যদি নাক,মুখ বা চোখ দিয়ে এই ভাইরাস কোনক্রমে ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে তা ৩-৪ দিন পর্যন্ত গলায় আটকে থাকে,ইতিমধ্যে গবেষনায় এটা প্রমাণিত । তাই মহামারি শেষ না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিছুক্ষন পরপর নরমাল/কুসুম গরম তরল পানীয় পান করা ও হ্যান্ড সেনিটাইজার / ক্ষার জাতীয় সাবান দিয়ে ঘনঘন হাত ধোয়াই বর্তমান সময় পর্যন্ত WHO নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা থেকে নিজেকে সংরক্ষিত রাখার অন্যতম কার্যকরী পদ্ধতি, এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইন ইজ মোর মোর বেটার অপশন ।
jsongjugnews@gmail.com
fb.com- @jshongjog