শেষ পর্যন্ত আলী যাকেরের শিল্পজীবন নিয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি গত ৯ জুন (২০২৩), শুক্রবার সকালে দেখানো হলো শিল্পকলা একাডেমিতে। ‘শেষ পর্যন্ত’ কথাটি বলেছি এই কারনেই যে, প্রথম দিকে শিল্পকলা একাডেমিকে ভুল বুঝেছিলাম! ভেবেছিলাম- আমার প্রতি বিমাতাসূলভ কোন দৃষ্টি নিয়েই হয়তো ফিল্মটা ‘হিমঘরে’ ফেলে রেখেছে তারা। ভুল ভাঙলো, যখন দেখি আমার নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রটিই নয় শুধু- আরো ৪৩টি প্রামাণ্যচিত্র তাদের সঞ্চয়ে আছে। সেগুলো এখন এক এক করে দেখানো হচ্ছে প্রতি শুক্রবার সকালে! অভিনন্দন শিল্পকলা একাডেমিকে। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই শিল্পকলা একাডেমির সহকারি পরিচালক মাস্উদ সুমনকে- উল্লেখিত বিষয়ে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।
শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই- ৪৪-জন সৃষ্টিশীল মানুষের কর্মের উপর এই ধরণের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেবার জন্য। ৪৪-জন সৃষ্টিশীল মানুষ; সোজা কথা নয়! কাজটি সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। এই প্রামাণ্যচিত্রগুলো আগামীতে ‘ইতিহাসের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে বলে বিশ্বাস করি। কর্মের এই ধারায় জয় হোক হলো শিল্পকলা একাডেমির।
ছোটলু ভাইয়ের (আলী যাকের) শিল্পজীবন এবং কর্ম নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির শিরোণাম- ‘আলী যাকের- আমাদের ছোটলু ভাই’। প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা আমিই। প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ৪৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার জন্য শিল্পকলা একাডেমির ‘চিত্রশালা মিলনায়তনটি’ কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল সেদিন দর্শক দিয়ে। কেউ কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রামাণ্যচিত্রটি দেখেছেন। অবশ্য এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখাবার আগে বাংলাদেশের আরো একজন খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের শিল্পজীবন নিয়েও একটি প্রামাণ্যচিত্র (গানের পাখী) প্রদর্শিত হয়েছে। ওটাও শিল্পকলা একাডেমি প্রযোজনা করেছে। নির্মাণ করেছেন সন্দিপ বিশ্বাস।
সেদিনের অনুষ্ঠানে প্রামাণ্যচিত্র দেখতে গিয়েছিলেন আমার বেশক’জন প্রিয় মানুষ। আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকের, ফারুক আহমেদ, মসিহ উদ্দিন শাকের, আশরাফুল আলম, প্রজ্ঞা লাবনী, নাশিদ কামাল, মাসুম বিল্লাহ, সুমিত, আশীষ গোস্বামী, মানিক মানবিক, এনায়েত করিম বাবুল, রেহানা পারভীন হাসি, ঝুমা এবং আরো বেশ ক’জন কাছের মানুষ। আমি খুব প্রাণিত হয়েছি এঁদের সবার উপস্থিতিতে।
এরমাঝে প্রজ্ঞা লাবনী তো এই প্রামাণ্যচিত্রের ‘ধারা বর্ণনা’র কন্ঠশিল্পী। প্রজ্ঞা লাবনী- এ দেশের ‘বাচিক-শিল্পে’ স্বমহিমায় উজ্জ্বল একটি নাম। মাঝখানে বেশকিছুদিন দেশের বাইরে অবস্থান করায়, দেশে উনার কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছিল। এখন আবার গতিশীল হচ্ছে বলেই জানি! …
আশরাফুল আলম এ দেশে আবৃত্তিতে ‘স্বাধীনতা পদক’ অর্জন করা প্রথম শিল্পী। আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষ- আশরাফ ভাই। মসিহ উদ্দিন শাকের তাঁর চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছিলেন সেই সময়েই। নাশিদ কামালকে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। লোকগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের নাতনি নাশিদ কামাল; কন্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের ভাইঝি। এগুলোর চাইতেও বড়ো পরিচয়- তিনি নিজে একজন গুণি সঙ্গীতশিল্পী।
মানিক মানবিক, এনায়েত করিম বাবুল- দু’জনই বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা। যদিও বাবুল এখন কানাডায় প্রবাস-জীবন যাপন করছেন; তথাপি চলচ্চিত্র-চর্চা কিন্তু বন্ধ রাখেন নি! আশীষ গোস্বামী দুই বাংলার মঞ্চ নাটকে প্রিয় মুখ। সাংবাদিকতাও করেন তিনি- দুই বাংলাতেই। কোলকাতা থেকে বেড়াতে এসে প্রামাণ্যচিত্রদু’টো দেখে নিয়েছেন। ধন্যবাদ তাঁকেও।
মাসুম বিল্লাহ- শিল্প রসিক মানুষ। চলচ্চিত্র আর চিত্রকলায় তাঁর অসীম আগ্রহ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন- ড. মাসুম বিল্লাহ! প্রচণ্ড কাঠখোট্টা আইনের মানুষ হয়েও শিল্প সাহিত্যে এমন আগ্রহ আমি কম মানুষের মধ্যে দেখেছি। তাঁরই বন্ধু সুমিত- মার্কেটিং নিয়ে কাজ করলেও মূলত লেখক। এরমাঝেই কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর।
ফারুক আহমেদ, রেহানা পারভীন হাসি এবং ঝুমা আমাদের নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য। ১৯৭৮ সালে ফারুক নাগরিকে যোগ দিয়েছে। ভালো অভিনয় করে। কাজ করে আলী যাকেরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকে। সেখানে আলী যাকেরের ডান হাত ছিলেন ফারুক। আবার নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়-এ ফারুক অপরিহার্য এক প্রিয় মানুষের নাম। ‘সুঁই থেকে কামান’ পর্যন্ত সকল সমস্যা সমাধানে ফারুকের বিকল্প নেই।
কথা বলতে চাচ্ছিলাম সারা ভাবী আর নূর ভাইকে নিয়ে। উনাদের আশীর্বাদ আমার মাথার উপরে বুলেট-প্রুফ হেলমেটের মত কাজ করছে দীর্ঘদিন থেকেই! চিকসি ভাবী (সারা যাকের) খুব ‘বেশী কথা’ বলার মানুষ নন! যা বলেন গুছিয়ে বলেন, পরিমিত বলেন। পুরো নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় উনাকে একটু ‘সমঝে’ চলে- আমি কোন ছার!
সেই সারা ভাবী সেদিন খুব আবেগে বলে ফেললেন- ‘আমি কাওসারের কাছে কৃতজ্ঞ’ (প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের জন্য)! ভাবীর এই কথাটি আমাকে ভীষণ প্রাণিত করেছে। সেদিনের পরে ভাবী অবশ্য আমাদের নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘হোয়াটসআ্যপ পেজ’-এ লিখেছেন- ‘ছবিটা ভিষন ভাল হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ছবিটা দেখানোর ব্যবস্থা করব । কাওসার কে নাগরিক পরিবার থেকে আর যাকের পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।’
এরপরে নূর ভাই। নূর ভাইয়ের সাথে আমার ঘনিষ্টতা সেই ’৮৫ সাল থেকেই; আমি যখন নাগরিকে যোগ দিলাম। প্রতিটি বিষয়েই পরামর্শ আর সহযোগিতা দিয়ে নূর ভাই ধরে রেখেছেন আমাদের সবাইকে। শুধু সহযোগিতাই নয়, নূর ভাইয়েরা আসলে আমাদের গুরুজন- শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু। একদিনের একটি ঘটনার কথা বলি। নতুন প্রজন্মের হয়তো কাজে আসবে গল্পটি (সত্য ঘটনা)।
আমিতো চট্টগ্রামের মানুষ (চাটগাঁইয়া)! উচ্চারণে প্রচুর ভুলভাল ছিল শুরুতে! এখন যে তা পুরোপুরি পরিশীলিত হয়েছে তেমনটিও নয়! আমার উচ্চারণে ‘অ’ এবং ‘ও’তে খুব সমস্যা হতো প্রথম দিকে (’৭৮- ’৭৯)! দুটি উচ্চারণেই প্রায় গুলিয়ে ফেলতাম! সেটা নিয়ে প্রচুর বকা শুনতে হয়েছে আতা ভাই (আতাউর রহমান) এবং ছোটলু ভাইয়ের (আলী যাকের) কাছে! ভুল উচ্চারণের জন্য একদিন মারও খেতে হয়েছে ছোটলু ভাইয়ের কাছে! বকাঝকা শুনেও মাথা নিচু করে উনাদের কথা শুনতাম, অনুসরণ করতাম মনযোগ দিয়ে।
ছোটলু ভাই বার বার ‘অ’ এবং ‘ও’ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ আমাকে বুঝিয়ে দিতেন অনেক ধৈর্য নিয়ে! এভাবে একদিন ‘গ্যালিলিও’ নাটকের রিহার্সালে নূর ভাই ব্যাপারটি লক্ষ্য করলেন। আমার দূরবস্থা দেখে তিনি রিহার্সাল থামিয়ে দিলেন। সবার সামনে তিনি বসলেন আমাকে নিয়েই।
গ্যালিলিও’র পরিচালক আতা ভাই (আতাউর রহমান) আর গ্যালিলিও- ছোটলু ভাইও বসে পড়লেন ফ্লোরে, কার্পেটের ওপর। অন্যান্য পারফরমার এবং গ্রুপের সদস্যরা তখোন উদ্গ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। নূর ভাই বললেন- ‘কাওসার, এখন থেকে একটি নিয়ম সব সময় মনে রাখার চেষ্টা করবে যে, যখনই কোন শব্দ নেতিবাচক (ইংরেজি no) অর্থে ব্যবহৃত হবে- সেই শব্দের শুরুটা (অদ্যাক্ষর) যদি হয় ‘অ’ দিয়ে, সেটা ‘অ’ আকারেই উচ্চারিত হবে- ‘ওকারন্ত’ উচ্চারণ হবে না!
যেমন ধরো, অ-সীম, অ-নামিকা, অ-হেতুক, অ-কার্যকর ইত্যাদি- ‘অ’ হিসেবেই উচ্চারিত হবে। মনে থাকবে?’ আমি বলি- জ্বী নূর ভাই, এটা মৃত্যুর পরেও মনে রাখার চেষ্টা করবো! ……এই ঘটনাটি যখন ঘটছিল তখোনও ‘কন্ঠশীলন’ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মপ্রকাশ করেনি! আজকাল তো উচ্চারণ শেখবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। নবীণরা চাইলে নিজেদের ক্ষুরধার করে নিতে পারেন ওখান থেকেই!
বলছিলাম নূর ভাইয়ের সেই শিক্ষাদানের কথা; ছোটলু ভাই আতা ভাইদের যত্নশীল সহযোগিতার কথা। কথাগুলো মনে এলো, দীর্ঘ সময়ের পর সেদিন নূর ভাইয়ের অনেক আদর পেয়ে, স্নেহ পেয়ে। প্রামাণ্যচিত্রটি শেষ হওয়ার পরে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন নূর ভাইকে পা’ছুঁয়ে সালাম করতে গেলাম- তিনি আমাকে দুহাতে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখলেন অনেক্ষণ! কেন বুকে জড়ালেন, কীসের জন্য- সেটা না বুঝবার মত বয়সে আমি নেই! নূর ভাইয়ের বুকে চোখদু’টো আবারো ভিজে এলো অলক্ষ্যে!
ছোটলু ভাই আজ লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেও তাঁর কর্মের অনেকাংশই রয়ে গেছে ধারণকৃত (recorded) অবস্থায়। তবে এই প্রামাণ্যচিত্রটি কিন্তু আলী যাকেরের পুরো জীবনের বয়ান নয়। আলী যাকেরের বিশাল বিস্তৃত জীবনের ক্যানভাস থেকে শুধুমাত্র ‘মঞ্চ নাটকের’ সীমিত কিছু অংশ নিয়েই এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছি।
তবে মঞ্চ নাটকের পাশাপাশি আলী যাকেরের জন্ম, পিতা মাতা এবং পারিবারিক জীবনের অংশ বিশেষও এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে। অনেক গুরুত্ব নিয়ে এসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। এসেছে সেই মুক্তিযুদ্ধে আলী যাকেরের অংশগ্রহন। আমরা জানি, আলী যাকের স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক ছিলেন। তিনি একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতারে সংবাদ পর্যালোচনা রচনা এবং পঠনের পাশাপাশি ‘ওয়ার রিপোর্টার’ হিসেবেও কাজ করেছেন- আলমগীর কবিরের অধীনে। আলমগীর কবির স্বাধীন বাংলা বেতারে ইংরেজী বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ছিলেন আলী যাকের। এই জাদুঘর নিয়ে আলী যাকেরের স্বপ্নের কোন সীমা পরিসীমা ছিলনা! সৌভাগ্যের বিষয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন স্থায়ী ভবনটি দেখে যেতে পেরেছেন আলী যাকের। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রাণখুলে কথা বলেছেন এই প্রামাণ্যচিত্রে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী মঞ্চ নাটকের পাটাতনটি কিন্তু নির্মিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ঘিরেই। ফলে, মঞ্চ নাটকের কথা বলতে গিয়ে ঘুরেফিরে এসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা; ’৪৭ পরবর্তী ২৩ বছরে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা আর এই জনপদের মাটি এবং মানুষের কথা।
আলী যাকেরের পাশাপাশি এই প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলেছেন আতাউর রহমান এবং আবুল হায়াত। তারা দু’জনেই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মঞ্চ নাটক এবং আলী যাকেরের সাথে তাঁদের নিজেদের এবং মঞ্চের সাথে ঘনিষ্টতা নিয়ে কথা বলেছেন। মূল্যায়ন করেছেন আলী যাকেরের শিল্পজীবন।
আলী যাকেরের মত পরাক্রমশালী শিল্পী কখনোই হারিয়ে যেতে পারেন না! বাংলা মঞ্চ নাটকের কথা এলে আলী যাকের থাকবেন তার মধ্যমণি হয়ে। টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে আলী যাকের দাপটের সাথে ‘পারফর্ম’ করলেও টেলিভিশন নাটকের খুব অল্পখানিই এনেছি এই প্রামাণ্যচিত্রে। চলচ্চিত্রগুলো একেবারেই আড়ালে রয়ে গেছে! তবে আশা আছে, আগামীতে- আমাদের ছোটলু ভাইকে (আলী যাকের) নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের।
মঞ্চ নাটকের জয় হোক।
জয় হোক আলী যাকেরের সকল সৃষ্টিশীল কর্মের।
———————————————-
আলী যাকেরের শোবার ঘর এবং স্ট্যাডিরুমের ছবিগুলো (স্থিরচিত্র) সালাউদ্দিন টিটোর তোলা। নূর ভাইয়ের সাথে আমার ছবিগুলো তুলেছেন ড. মাসুম বিল্লাহ। অন্যান্য বেশক’টা ছবি শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব চিত্রগ্রাহকের তোলা। সকল ফটোগ্রাফারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
——————————————
লেখক- নির্মাতা ও নাট্য অভিনেতা
(৯সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে প্রকাশিত লেখকের টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত)
সা:স:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য