সংযোগ সরকার । ( নিউজ ডেস্ক )
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছন। ১২সেপ্টেম্বর আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ উসমান হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয় শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলোকিত মানুষ,নেত্রকোনার কৃতিসন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রাক্তন গণপরিষদ সদস্য প্রয়াত জননেতা ডা.আখলাকুল হোসাইন আহমেদ এর জ্যেষ্ঠ সন্তান । ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক এবং তাঁর সহধর্মীনি নাফিজা বানু বেপজার সদস্য।
তাঁর সহোদর ছোট দুইভাই যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং বর্তমানে নেত্রকোনা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাজ্জাদুল হাসান ও অপর ছোট ভাই টেলিকম কোম্পানী গ্রামীন ফোনের জেনারেল ম্যানেজার সাইফ উল হাসান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন বিচারক হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন তিনি ১১টি মামলার রায় প্রদান করেছেন । তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৯১ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে একটি আইন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক একটি কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে নেদারল্যান্ডস এর হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তৎকালীন যুগোস্লোভিয়ার বিচারকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। তিনি ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্রঃ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশঃ একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ ও বংশপরম্পরা: ডা.আখলাকুল হোসাইন আহমেদ নামক তিনটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
স:স:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য