স্মৃতিচারণ সংযোগ । চ্যালেঞ্জার
এ এস এম তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন বাংলাবাজারের প্রেসের মালিক। প্রায়ই তাঁর অঙ্গভঙ্গি আর কথা বলার নানা ধরন দেখে মুগ্ধ হতেন হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদের জহুরী চোখ তাঁর মধ্যে পেয়েছিলেন অভিনয় প্রতিভা। নিয়ে এলেন তাঁকে টিভি পর্দায়। আর তাতেই বাজিমাত। এর আগে তাঁকে কেউ চিনতো না। হুমায়ূন আহমেদ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন বলে এ এস এম তোফাজ্জল হোসেনের বদলে নাম রাখলেন চ্যালেঞ্জার।
২০০০ সালে ‘হাবলঙ্গের বাজারে’ নাটক দিয়েই অভিনয়ের যাত্রা শুরু তাঁর। সেই নাটকে অভিনয় করেছিলেন নাপিত ‘রামেশ্বরের’ চরিত্রে। এরপরের গল্প তো সবারই জানা ৷ আর তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হুমায়ূন আহমদের দুই দুয়ারী চলচ্চিত্র দিয়ে। যদিও সেই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের চরিত্রটি ছিলো খুবই স্বল্প সময়ের। কিন্তু তাঁর শক্তিমান অভিনয় দেখা যায় হুমায়ূন আহমদের নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ তে। সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এক শহীদের বৃদ্ধ বাবা চরিত্রে। অভিনয়কে যে কতোটা নিপুণ কৌশলে ফুটিয়ে তোলা যায় তা তাঁর অভিনয় দেখলেই বোঝা যেত।
তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘চ্যালেঞ্জার এর মৃত্যুর পর অনেকেই বলবে একজন ভালো অভিনেতা হারালো। কিন্তু আমি বলবো একজন ভালো মানুষ হারালো। ভালো অভিনেতা তৈরি করা যায় কিন্তু ভালো মানুষ তৈরি করা যায় না। তৈরি করা গেলে আমি একটি ভালো মানুষ তৈরির স্কুল দিতাম।’
১১ বছর আগে আমরা হারিয়েছিলাম এই অসামান্য অভিনেতা চ্যালেঞ্জার তথা এএসএম তোফাজ্জল হোসেনকে। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি।
আমরা গর্বিত ।
(১৯সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে প্রকাশিত stay curious sis এর টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত )
কৃতজ্ঞতা : মি. ইশতিয়াক ও stay curious sis
স্মৃ:চা:স:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য