সংযোগ খবর । রাজনীতি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়ে পরিমিত বক্তৃতা দেওয়াসহ ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিনিধিদল এ সুপারিশ করে। অন্য চারটি হচ্ছে-মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং নাগরিক সমাজের কথা বলার স্থান নিশ্চিত করা, যেখানে ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। নির্বাচন অহিংস হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে রাজনৈতিক সহিংসতার অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় রাখতে হবে। সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যার মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে। সর্বশেষ সুপারিশে হলো-নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সক্রিয় নির্বাচনি অংশগ্রহণের সংস্কৃতির প্রচার করা।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল। এরমধ্যে রয়েছে-ইসির নিরপেক্ষ কর্মপন্থা নিয়ে সংশয়, দ্বাদশ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ‘লিটমাস টেস্ট’, সংলাপের অভাবে উত্তেজনা এবং সহিংসতা বাড়ার শঙ্কা, গত নির্বাচনে অনেক নাগরিকদের ভোট না দিতে পারার অভিযোগ, ‘পলিটিক্যাল চয়েজ’ থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং রাজনৈতিক পক্ষাঘাতে দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট পার্টির থিংক ট্যাংক হিসাবে পরিচিত দুটি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) যৌথ প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এই প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি ৮ থেকে ১২ অক্টোবর ঢাকা সফর করে। এ সময়ে তারা সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন-ইউএসএইডের সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বোনি গ্লিক (আইআরআই সহসভাপতি), দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইনডারফার্থ (এনডিআই সহসভাপতি), মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাবেক অ্যাসোসিয়েট কাউন্সেল জামিল জাফের, আইআরআইয়ের সিনিয়র পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশন) জোহানা কাও এবং এনডিআইয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) মানপ্রীত সিং আনন্দ।
সফর শেষে এই প্রতিনিধিদল তাদের প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের জন্য উল্লিখিত সুপারিশ বিবেচনার জন্য প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, এসব সুপারিশ একটি রোডম্যাপ, যা নির্বাচনের আগে এবং পরে বিশ্বাসযোগ্য, সবার অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বী ও অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতি অর্জনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেবে।
প্রতিনিধিদলের প্রথম সুপারিশের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করে বলা হয়, পরিমিত বক্তৃতা করুন। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা মূলত সংলাপে হতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার উত্তরণ খুঁজে পেতে এবং বাস্তব, দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশ্বাসযোগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সরল বিশ্বাসের আলোচনায় বসতে হবে। জনসম্মুক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের বক্তৃতা সংযত করা এবং বিদ্যমান আচরণবিধিকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অংশগুলোর বৈধতা স্বীকার করা।
দ্বিতীয় সুপারিশে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। একটি উন্মুক্ত নাগরিক স্থান (সিভিক স্পেস) নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে ভিন্নমতকেও সম্মান করা হবে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, সরকারের নানা পক্ষ এবং বিভিন্ন সমস্যার সমালোচনাসহ প্রতিবেদন করার জন্য স্বাধীন হওয়া উচিত। নাগরিকদের কোনো প্রতিশোধমূলক ভীতি ছাড়াই নিজেদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত। সিভিল সোসাইটি এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সংস্থাগুলো, বিশেষ করে যারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করেন, তাদের কার্যক্রম কমানোর বা সীমিত করার হুমকির সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়। নতুন পাশ হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা উচিত নয়। যার মাধ্যমে ভিন্নমতকে লক্ষ্য করা হয়। সরকারের উচিত নাগরিক এবং অন্যান্য অংশীজনদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য নেওয়া। নির্বাচনের বিধিবিধানে নাগরিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সব বিষয়গুলোতে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বৈশ্বিক নীতি এবং নিয়ম অনুসারে তা হওয়া উচিত।
তৃতীয় অংশে বলা হয়েছে, নির্বাচন অহিংস হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে এবং রাজনৈতিক সহিংসতার অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীদের সহিংসতায় মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। আইনি ও অহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তারা রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমান সুরক্ষা পাওয়া উচিত। সব দলের উচিত প্রকাশ্যে অহিংসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং তাদের নিজস্ব দলের সদস্য বা সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা করা। সব দলের নির্বাচনি অহিংসার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বহুদলীয় আচরণবিধিতে সম্মত থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য অংশীজনদের উচিত নির্বাচনের সময় নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে সহিংসতা প্রতিরোধ, চিহ্নিতকরণ এবং মোকাবিলা করার পদক্ষেপ নেওয়া।
চতুর্থ সুপারিশের ব্যাখ্যায় বলা হয়, সব দলকে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনার জোরদার হবে। ইসির স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা দরকার। জনবল ও তহবিল বাড়িয়ে এটি করা যাবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস এবং আস্থা আনতে কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা আনতে হবে। রাজনৈতিক কর্মী, সুশীল সমাজের নেতা এবং মিডিয়া প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন সব মামলার দ্রুত এবং বিশ্বাসযোগ্য পর্যালোচনা প্রদান করুন।
সুপারিশের পঞ্চম অংশে বলা হয়, নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সক্রিয় নির্বাচনি অংশগ্রহণের সংস্কৃতির প্রচার করতে হবে। সব অংশীজনদের অহিংস, সংযমী এবং সম্মতিমূলক রাজনীতির নির্বাচনি পরিবেশে অবদান রাখতে হবে। যাতে বৈষম্য ছাড়াই নির্বাচনে সব নাগরিক অংশ নিতে পারে। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সব দলেরই নতুন কণ্ঠস্বর বিশেষ করে নারী, যুবক এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোকে সামনে আনা উচিত। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিদের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসিকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা, বৈধতা এবং দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় প্রতিনিধিদলের পর্যবেক্ষণে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামো একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের জন্য সুস্পষ্ট আদেশ প্রদান করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় সংসদে ইসির ভূমিকা এবং স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করার জন্য একাধিক আইন পাশ করেছে। কমিশন বিশ্বাসযোগ্য, অহিংস নির্বাচন পরিচালনা এবং প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। বাস্তবে, ইসি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের ওপর নির্ভর করে এবং সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট ও গণনা প্রক্রিয়ার জন্য নিরাপত্তা প্রদান করে। যদিও আইনগতভাবে মন্ত্রণালয় নির্বাচন কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদল শুনেছে যে, কার্যত নির্বাচনের দিন স্বাধীনভাবে সমস্যা চিহ্নিত করা বা ভোট কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের নির্দেশনা কার্যকর করার ক্ষমতা ইসির নেই। এটি ভোটদান এবং গণনার ওপর অযাচিত রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য সুযোগ তৈরি করে। সামগ্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা হ্রাস করে। নির্বাচনের কার্যকর ও নিরপেক্ষ পরিচালনার বিষয়ে ইসি এবং সরকারের মধ্যে দায়িত্বের রেখাকে ঝাপসা করে দেয়।
সুশীল সমাজ ও বিরোধী দলের নেতারা যাদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হয়েছে তারা ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে প্রতিনিধিদল। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) বেশ কয়েকটি বিরোধী দল বাছাই প্রক্রিয়ায় পক্ষপাত হতে পারে ভেবে সম্ভাব্য কমিশনারদের মনোনয়ন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই নির্বাচন পরিচালনায় তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তুলনামূলকভাবে অপরিচিত নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রদানে ইসির সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠিত দলগুলো অস্বীকৃতি জানানোয় ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কথোপকথনকারীরা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, কিছু ইসি কমিশনারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বাচনি আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্ধতিগতভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইসির পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে এবং এর নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তারা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করেছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৬ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা শুরু করেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ ভারসাম্য এবং যুবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রতিনিধিদল বলেছে, রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অনেক নাগরিকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে অতীতের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
বর্তমান অত্যন্ত মেরুকৃত পরিবেশের উল্লেখ করেও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতার উন্নয়নে অগ্রগতি করেছে। সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে, যা নির্বাচনি নিরপেক্ষতার একটি মাত্রা নির্দেশ করে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে বলেছে যে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় এবং আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নতির পাশাপাশি বর্তমান অচলাবস্থার কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও রাজনৈতিক পক্ষাঘাত এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা কমে যাওয়ায় এ অগ্রগতির ওপর ছায়া ফেলেছে এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের গতিপথকে দুর্বল করার হুমকি দিচ্ছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় বয়কট, সহিংসতা, ধর্মঘট এবং নির্বাচনি অনিয়ম অনেক বাংলাদেশিদের মধ্যে ফলাফলের বৈধতা বিষয়ে মনঃক্ষুণ্ন করেছিল। ফলে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে কম। বর্তমান নির্বাচনি প্রচারণায় রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারের সমালোচকরা ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে এবং একটি নির্দলীয় নির্বাচনি প্রশাসন ব্যবস্থা না করা হলে দেশের প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে সংসদ নির্বাচন বয়কট করার পরিকল্পনা করছে। সে প্রস্তাবগুলো ইতোমধ্যে সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থা বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক পছন্দ (পলিটিক্যাল চয়েজ) থেকে বঞ্চিত করছে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করছে। ব্যাপক অবিশ্বাসের এ পরিবেশে রাজনৈতিক সংলাপের অভাবে উত্তেজনা এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সহিংসতাও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সংযোগ সূত্র- দৈনিক যুগান্তর/প্র:১৬/১০/২০২৩/রা:স:বি:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য