স্মৃতিচারণ সংযোগ । সৈয়দ আবুল হোসেন
সৈয়দ আবুল হোসেন; আমার জন্য ছিলেন এক হিমালয়সম অভিভাবক। যে-কোনো সমস্যায় ছুটে যেতাম তাঁর কাছে, সাহস দিতেন, বুদ্ধি দিতেন; প্রয়োজনে আবশ্যক সহযোগিতাও। এভাবে আকস্মিক চলে যাবেন, কেউ ভাবেননি। কয়েকদিন আগে কথা হয়েছে; একদম স্বাভাবিক। সকালে (২৫শে অক্টোবর ,২০২৩ খ্রি.) শুনি রাত ২.৩০ মিনিটের সময় তিনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাইহে রাজিউন)। তাঁর মৃত্যু আমার অবিশ্বাস্য কষ্টের অবর্ণনীয় শোক।
তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন আমি তাঁর পিএস ছিলাম। মন্ত্রী হতে পদত্যাগ করার পরও নানা বিষয়ে তাঁর একান্তে সান্নিধ্যে ‘পিএস’-র অনুরূপ কিছু লেখালিখিবিষয়ক কাজ করেছি। মাঝে মাঝে ডেকে নিয়ে যেতেন তাঁর সাকো অফিসে। দীর্ঘদিন খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক দেশ ঘুরেছি তাঁর সঙ্গে। সৈয়দ আবুল হোসেনের কাজকর্মে কষ্ট পেয়েছেন এমন কেউ আমার জানামতে নেই। তিনি এমন অমায়িক ছিলেন যে, প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যেও সবার প্রতি; এমনকি যিনি কষ্ট দিয়েছেন তাঁর প্রতিও অনবদ্য হাসির নির্মল ছটা অবারিত বর্ষিত হতে থাকত।
যখন তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনি তখনও আমার হাতে ছিল তাঁর দেওয়া একটি ব্যাগ। ব্যাগটি তিনি আমাকে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও থাকাকালীন উপহার দিয়েছিলেন। ব্যাগটি তিনি আমার জন্য ফ্রান্স থেকে এনেছিলেন। তাঁর মৃত্যু আমাকে আমরণ শোকার্ত করে রাখবে। যখনই তাঁর কথা মনে পড়বে তখনই তাঁর উপকার আর মঙ্গলজনক সব বিষয় ভেসে উঠবে, তখনই আমার সত্তা আর্দ্র হয়ে উঠবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায়, অসীম আবেগে ভরা নির্বাণ ভালোবাসায়।
একটি স্মৃতিচারণ: https://www.facebook.com/mohammed.amin.
714655/posts/pfbid02n2M691kx5nm3SU2yurkciejJT9KVBnsJcfD1L49s7WVUtNA5FUX881eL1VGeakLVl
লেখক- সাবেক উপ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়,বঙ্গভবন ও এডিটর, শুদ্ধ বানান চর্চা ।
(২৬অক্টোবর,২০২৩ তারিখে প্রকাশিত লেখকের টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত)
স্মৃ:স:বি:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য