সংযোগ প্রতিবেদন / জনসংযোগ .কম / ১৫-০৭-২০২০ /
। এম আনিছুর রহমান ।
অদ্য ভোরের আলো ফুটতেই সদ্য তোলা এক বিস্ময়ের ছবি হঠাৎ মিডিয়াতে । পাঁকা চুল কলবে হয়েছে কাল আর জনমনে চেনা সেই গোঁফ যেন না থাকাটাই ভাল ; দেহের সর্বাগ্নে কাঁদামাখা দেখে মনে হচ্ছে প্রান্তিক কোন আনাঢ়ী মৎস খামারী সবেমাত্র ডুবা সেঁচে শোল মাছ ধরে এল - কিন্তু না, চেহারাটা খুব পরিচিত লাগল, ক্ষণিকের দৃষ্টিভ্রম হলেও তাকে চেনা গেল । অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হল হালের কথিত প্রতাপশালী “ করোনা ডন ’’ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম । তিনিই ক্ষমতাসীন দলের প্রকাশিত প্রথম কোন রেজিষ্টার্ট আওয়ামী হাইব্রীড নেতা এবং একইসাথে মিডিয়া টক‘শোর মাধ্যমে হাইব্রীড জোয়ারে প্রকাশিত প্রথম কোন রেজিষ্টার্ট মধ্যরাতের সুশীল ব্যক্তিত্ব । এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হওয়া ৫৯ টি দূর্ণীতির মামলা থাকার পরও জীবনে কোন দিন তাকে এভাবে গ্রেফতার হতে হবে, তা হয়ত তিনি কখনও কল্পনাও করেননি ।কোন দূর্ধর্ষ ক্রাইমে ফেঁসে গিয়ে শুধু গা-ডাকা দেয়া শিখলেই হয়না, গ্রেফতার হতেও শিখতে হয় । এদিক দিয়ে ডা: সাবরিনা বেশ এ্যাডভান্স এবং সাহেদ করিম অবশ্যই কোয়ালিটিলেস ক্রিমিনাল । যখন কোন বিষয় জাতীয় ইস্যু হয়ে যায়, আপরাধের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় আর সেই বিষয়ে রাষ্টের সর্বজনতা একযোগে একমত পোষণ করে তখন আর পালিয়ে কোন লাভ হয়না । যদি সাহেদ সাহেব এইটুকুও বুঝতে পারতেন তাহলে হয়ত তার নিয়মিত চালচলনেই স্যুটেট বুটেট হয়েই গ্রেফতার হতে পারতেন । মুলত: এধরনের গ্রেফতারি ফটোগ্রাফী নি:সন্দেহে প্রমাণ করে দিচ্ছে তার গোত্র বা সম্পদায়কে যেখান থেকে মূলত তার আগমন এই সুশীল সমাজে বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগে ।
যাইহোক, অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের হাতে ধরা পড়লেন রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি । বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ মো. সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র। এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র্যাব। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি সরকারের সাথে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট দিয়ে মানুষের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন । এবিষয়ে অবগত হয়ে র্যাব মেজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলম গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সার্বিক প্রমাণাদি সহ রিজেন্ট হাসপাতালের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন । পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নং আসামি করে মামলা করে।সেই মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ। সাহেদের এহেন কার্যে বর্তমানে করোনা চিকিৎসার অনিয়ম বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দীর্ঘস্থায়ীভাবে নষ্ট হল ।
jsongjugnews@gmail.com
fb.com - @jshongjog
পাঠকের মন্তব্য