সংযোগ খবর । সরকার ও রাজনীতি
গত মঙ্গলবার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেয় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগেরদিন বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দ্রুতই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান।
এরপরই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কি-না নতুন সরকার। কিংবা তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে কতদিন সময় নিবে।
শনিবার সচিবালয়ে প্রথমদিনের অফিস করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা মানুষের আছে। সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন নির্বাচনের আকাঙ্খার মধ্যে সমন্বয় করে যতদিন থাকা দরকার ততদিন আমরা থাকব, বেশিও না কমও না। যে দায়িত্বের জন্য আমরা আসছি, সেগুলো পালনের চেষ্টা করব।’
এছাড়াও নাগরিক ঐক্য, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা হয়েছে।
তবে আগের দিন শুক্রবার উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরা সবাই যাতে দেশে একটা গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে পারি, সেটার প্রস্তুতির জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যেটুকু সময় দরকার শুধু সেটুকু সময়ই আমরা নেব”।
নতুন সরকার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া?
বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন তারা।
নতুন সরকারে একদিকে যেমন আছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার। তেমনি অন্যদিকে আছেন ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরাও।
এরই মধ্যে আদালত, আইনশৃঙখলাবাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন পদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনেকেই আবার নিজ থেকে পদত্যাগও করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সরকার গুরুত্ব দিলেও আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “নতুন সরকারে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নতুন মুখ। তারা কাজ শুরু করার কিছুদিন পর তাদের নিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে। তবে আপাতত সবক্ষেত্রে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টিতেই গুরুত্ব দিতে হবে তাদের”।
বিশেষ করে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার দিন সারাদেশের পুলিশের থানাগুলো লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের হামলা ভাংচুরে। নতুন করে সেগুলো ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অনেক থানায় নতুন করে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ অবস্থায় দায়িত্ব নিয়ে নতুন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিটি সেক্টরে নতুন করে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নতুন সরকারের প্রথম বৈঠকে।
শুক্রবার বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “সব সেক্টরের সংস্কার নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এভাবে চলে না, চলতে পারে না, সিস্টেমটা আমাদের বদলাতে হবে। এ জন্য সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে”।
সংযোগ সূত্র : বিবিসি বাংলা /প্রকাশ:১০আগষ্ট,২০২৪
স:রা:স:বি:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য