দৃষ্টি আকর্ষণ- সংস্কৃতি । এম আনিছুর রহমান
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সংস্কৃতি জগতে বর্তমানে সফল ব্যবসায়ীক কৃতিত্বের পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কর্মসংস্থানের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ । এই উদ্যোগকে ধীরে ধীরে জাতীয়ভাবে সমাদৃত করার পেছনে বেসরকারীভাবে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশী তিনি হচ্ছেন “অন্তর শোবিজ” এর স্বত্বাধিকারী জনাব স্বপন চৌধুরী । তাই স্বপন ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়েই সরাসরি চলে যাচ্ছি মূল আলোচনায় । কথায় আছে - একটি ক্ষুদার্থ পেট, একটি ভাঙ্গা হৃদয় এবং একটি খালি পকেট এই নশ্বর পৃথিবীতে যে শিক্ষা দিয়ে থাকে, পৃথিবীর কোন বই তা দিতে পারেনা আর এই শিক্ষায় সবচেয়ে বেশী আলোকিত হচ্ছেন আমাদের দেশের সংস্কৃতি প্রেমীরা ; বিশেষকরে এই বিষয়ে যারা প্রফেশনালী জীবন অতিবাহিত করেন তাদের এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশী । একজন প্রতিভাবান ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব হয়েও প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে সারাসরি অনেক যুদ্ধ করেই তাদেরকে টিকে থাকতে হয় জীবনে । একটি সময় ছিল যখন শুধুমাত্র বিটিভি-ই ছিল তাদের আয়ের একমাত্র বা প্রধান উৎস । কালের পরিক্রমায় ও বর্তমান সরকারের গণমাধ্যম বিষয়ক ইতিবাচক চিন্তা ও উদ্যোগের ফলে দেশে বর্তমানে অগনিত গণমাধ্যম হাউজ গড়ে উঠেছে, তাই সংস্কৃতি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে অনেক । এরই সাথে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে প্রচুর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হাউজ, যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইভেন্ট কমার্শিয়ালী অর্গানাইজ করে থাকে, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট হচ্ছে বিদেশী শিল্পীদের অংশগ্রহনে দেশীয় অঙ্গনে সরাসরি ষ্টেজ শো-গুলো । একইভাবে বিদেশের মাটিতেও আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি শিল্পী বা কলাকুশলীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সমাদৃত হচ্ছে বিদেশী অঙ্গনও । তবে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যোগসূত্র দেশীয় অঙ্গনে বেশ আলোচিত ও প্রসংশিত, বিশেষকরে দুই বাংলার শিল্পীদের যোগসূত্রের বিষয়টি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ; অন্যদিকে এসব আন্তর্জাতিক ইভেন্টে স্পন্সরশীপ প্রদানেও দেশীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত ।
যখন বিষয়টি দেশী বিদেশী শিল্পীদের সহ দর্শক বা শ্রোতাদের মাঝে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে ঠিক তখনি এর প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদেশী শিল্পীদের সরকারী অনুমোদনের কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয়গুলো । তবে এসব ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যখন সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্গানাইজারদের পাশে দাঁড়াল তখন আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা ও পরিবেশনার ক্ষেত্রে আরও সাবলীল হল, বিশেষকরে সরকারের আই্নশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি বেশ ইতিবাচক । শুধুমাত্র সরকার যদি এসব আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলো আয়োজনের ক্ষেত্রে বিদেশী শিল্পীদের সরকারী অনুমোদনগুলো একটি নির্দিষ্ট তারিখে না দিয়ে ন্যূনতম একমাস বা এরকিছু বেশী মেয়াদে প্রদান করে তাহলে যেকোন আয়োজকের জন্য এই সংক্রান্ত ইভেন্ট আয়োজনে আর কোন জটিলতা থাকবেনা বরং আরও বেগবান হবে ।
তথ্যের আলোকে বিস্তারিত -
নিয়মিত একজন প্রফেশনাল ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসেবে সরাসরি নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আলোচনা করছি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন ও বিদেশী শিল্পীদের অংশগ্রহনে সরকারের বৈধ অনুমোদন প্রাপ্তির প্রচলিত প্রক্রিয়াকরন বিষয়ে । এব্যাপারে প্রথমত আবেদন করতে হয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/সচিব বরাবর এবং দৃষ্টি আকর্ষন করতে হয় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবকে কিন্তু তার পূর্বেই নির্ধারিত বিদেশী শিল্পী/শিল্পীদের সাথে চুক্তিনামা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থান/ভ্যেণু কনফার্ম করে ছাড়পত্র নিতে হয়, শুধু শিল্পীদেরই নয় বরং শিল্পীদের হ্যান্ডস বা টিম মেম্বারদেরও লিষ্ট কনফার্ম করে তাদের পাসপোর্ট এর ফটোকপি সহ আবেদনের সাথে যুক্ত করে দিতে হয়, যে লিষ্ট পরবর্তীতে আর পরিবর্তন করার কোন সুযোগ থাকেনা বা বিশেষ বিবেচনায় পরিবর্তন করা গেলেও তা সময় সাপেক্ষ
উল্লেখ্য- আবেদন পরবর্তীতে এব্যাপারে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে কিন্তু বিদেশী শিল্পী কনফার্মেশন ও ভ্যেণু বুকিং দিতে হলে শিল্পী ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হওয়া মূল কন্টাক্ট মানি থেকে কমপক্ষে ৩০-৫০% সাইনিং মানি হিসেবে তাদেরকে পেমেন্ট করতে হয়, এমনকি এসব চুক্তিনামা ও ক্যাশমেমোও আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হয় নয়ত অসম্পূর্ণ আবেদন হিসেবে তা শুরুতেই বাতিল বলে গণ্য হয় । যদি আবেদনের পরে যথাসময়ে অনুমোদন মিলে ত ভেরি গুড আর যদি অনুমোদন না মিলে তাহলে টোটাল সাইনিং ও বুকিং মানি তাদের কাছ থেকে ফেরত নেয়াটা অর্গানাইজারদের জন্য ভেরি মাচ ডিফিকাল্ট হয়ে যায় কারন শিল্পী ও ভেণ্যু কর্তৃপক্ষ উভয়েই যদি বলে যে আপনার জন্য আমাদের বুকিং ডেট নষ্ট হল বা ব্যবসা নষ্ট হল তাহলে তখন আর কিছুই বলার থাকেনা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আয়োজকদের বাধ্য হয়ে তাদেরকে জরিমানাও দিতে হয় । এছাড়াও চুক্তি করার জন্য অর্গানাইজারদের বিমান ভাড়া সহ এক/একাধিকবার বিদেশ সফরের যাবতীয় খরচটাও লসের খাতায় চলে যায় অর্থাৎ অনুমোদন পাওয়া যাবে কি যাবেনা তা জানার আগেই অর্গানাইজারদের একটি বিশাল অঙ্কের টাকা অনিশ্চতয়তার মাঝে বিনিয়োগ হয়ে যায় ।
যাইহোক, এর পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আবেদনকারীর ফাইল প্রসেসিং করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ এ প্রেরণ করে এ ব্যাপারে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ তখন (এস,বি) ও (এন,এস,আই) এর নিকট আবেদন পাঠায় এব্যাপারে ফুল তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য । উভয় সংস্থা থেকে তদন্ত টীম আসার পূর্বেই আয়োজককে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স হাল-নাগাদ নবায়ন করন সহ ভ্যাট রেজিষ্টেশন বিধি মোতাবেক সম্পূর্ণ করে রাখতে হয় । শিল্পীদের সাথে কন্টাক্ট মানি পেমেন্ট প্রক্রিয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি মোতাবেক করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় । টোটাল অনুষ্ঠানের আয় ব্যায়ের হিসাব সহ স্পন্সর ডিটেইলস ও টিকিট বিক্রির দাম নির্ধারন প্রক্রিয়া সম্পন্ন পূর্বক ভ্যাট প্রদানের বিষয়টি বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকেও অনুমোদনপত্র নিতে হয় । অন্যদিকে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ষ্ট্রং ব্যাংকিং লেনদেন ও অনুষ্ঠান আয়োজন পরিচালনার জন্য যথার্থ অর্থ ব্যাংক একাউন্টে ডিপোজিট আছেকিনা সেটাও খুব গরুত্বপূর্ণ । ভেণ্যু বিষয়ে স্থানীয় আইন প্রযোগকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদন নিতে হয়, যেমন ঢাকায় হলে ডিএমপি‘র অনুমোদন বা কোন জেলায় হলে জেলা প্রশাসন সহ লোকাল থানার অনুমোদন গ্রহণ বাধ্যতামূলক । এছাড়াও প্রত্যেক বিদেশীদের এ্যকুমোডেশন কোন হোটেলে হবে ? কিভাবে হবে ? কেমন হবে ? কতদিনের জন্য হবে ? এই সকল প্রশ্নের কার্যকরী জবাব রেডি করে রাখাও বাধ্যতামূলক বলে গণ্য হয় । বিশেষকরে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতাও অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ । এই টোটাল চেইন থেকে যদি একটি বিষয়েও সদুত্তর না মিলে বা অব্যবস্থাপনা থাকে তাহলে উভয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকেই নেগেটিভ রিপোর্ট প্রেরণ করা হতে পারে, বিশেষকরে- এনএসআই এর রিপোর্ট এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এসব তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে উভয় গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ এ রিপোর্ট প্রদান করে । সেই রিপোর্টগুলোর উপড় ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা-২ আপত্তি বা অনাপত্তি রিপোর্ট সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পেশ করার পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আপত্তি বা অনাপত্তি সূচক চিঠি প্রেরণ করে । এই সমগ্র কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরে যদি প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান আপত্তি সূচক চিঠি পায় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান বিশাল এক আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয় কারন কিছু কিছু সদুত্তর চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে দেয়া যায়না, বিশেষকরে পজিটিভ অনুমোদন না পেলে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কার্যকরী কোন ওয়ার্ক অর্ডার বা পেমেন্ট প্রদান করেনা আবার পজিটিভ অনুমোদন হলেও যদি তা যথাসময় না হয় তাহলে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক ব্রান্ডিং, প্রমোশন সহ টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও দেখা দেয় অস্থিরতা সহ অনিশ্চয়তা ।
যদি এমন হয় তাহলে পূঁণ:রায় একই পদ্ধতিতে আবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয় এবং আবারও সেই একই সিষ্টেমে তদন্ত হয়, রিপোর্ট আসে এবং পরে অনুমোদন আসে ; আর এসব করতে গেলে আরও সময় চলে যায়, অবশেষে দেখা যায় সমগ্র অনুষ্ঠান আয়োজনে শিল্পীদের সহ সকল লজিষ্টিক পেমেন্ট প্রদান করার পরেও দূর্ভাগ্যবশত পুরো অনুষ্ঠানটিই বাতিল করে দিতে হয় ; টিকিট বিক্রির টাকাও সবাইকে ডেকে ডেকে এনে ফেরত দিতে হয় অর্থাৎ টোটাল বাজেটটিই তখন আয়োজকের লসের খাতায় চলে যায় । ঠিক এমনটিই ঘটেছিল জুন ২০০৮ এ আই কন্টাক্ট মিডিয়া ও জিম্যাক্স এর যৌথ আবেদনে ভারতীয় (কলকাতা) শিল্পী নচিকেতা চক্রবতী ও বাংলাদেশ থেকে প্রয়াত ব্যান্ড লিজেন্ট আইয়ুব বাচ্চু কে নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রস্তাবিত একটি আন্তর্জাতিক শো এর ক্ষেত্রে । মোটামুটি সবকিছু ঠিক থাকলেও অনুষ্ঠানের মাত্র ০৯ দিন পূর্বে এনএসআই থেকে উক্ত অনুষ্ঠান স্থগিত করার লিখিত নির্দেশনামা দিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রথমত এনএসআইয়ের তৎকালীন ডিএডি মি. শামছুজ্জোহা এবং পরবর্তীতে পূঁণরায় আবেদনের ফলে উক্ত ইভেন্টের পূঁণতদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এনএসআইয়ের তৎকালীন ডিএডি মিসেস খাদিজা বেগম । তখন কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং সেই সময় আরও দুইটি আন্তর্জাতিক রেডি শো-ও স্থগিত করা হয়েছিল । সম্ভবত তখন অধিক লোক সমাগম হবে এমন সকল অনুষ্ঠানের উপড়েই ১/১১ সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল । অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য তখন এই দুইটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকা লস করতে হয়েছিল, পরবর্তীতে এই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে বেশ কিছু বছর এর জের টানতে হয়েছিল। কথা হচ্ছে- এরকম ঘটনা হরহামেশাই বিভিন্ন কারনে ঘটে থাকে, এগুলো অনেকেই জানে আবার অনেকেই জানেনা । তবে যাদের প্রচুর অর্থ ষ্টকে আছে তাদের জন্য এই লসগুলো কোন ব্যাপার না হলেও যারা দেশীয় আয়োজনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শো আয়োজনের অভিজ্ঞতা অর্জন সহ ব্যবসায়িক সফলতার জন্য আগ্রহী হয়ে উদ্যোগী হয় তাদের জন্য এরকম লস মেনে নেয়াটা খুবই পেইনফুল । পরবর্তীতে ৯ মার্চ,২০০৯ এ হোটেল রেডিসনে এইএস এন্টারটেইনম্যান্ট; নচিকেতা নাইট এর আয়োজনে শতভাগ সফল হয়।
পরামর্শ :
যদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আবেদনকারীর চাহিদা মোতাবেক দেশীয় অঙ্গনে বিদেশী শিল্পীদের সরকারী অনুমোদন প্রদান, একটি নির্দিষ্ট তারিখে না দিয়ে যদি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অনুমোদন দেয় তাহলে এ ব্যাপারে আর কোন জটিলতা থাকবেনা । তখন ফুল চেইনের কোথাও কোন পরিবর্তনের দরকার হলে অর্গানাইজার তা স্বাধীনভাবে করতে পারবে । শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের পূর্বে সেই ইনফরমেশনটুকু লিখিত আকারে মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করত: অবগত করবে । অনুমোদনের এই মেয়াদ এক মাস বা ততোধিক হতে পারে । অর্থাৎ এই মেয়াদের মধ্যে জরুরী প্রয়োজনে বা কৌশলগত ফরমাল যে কোন কারনে মূল অর্গানাইজার অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করে রি-অর্গানাইজড করতে পারবে । শুধু এই একটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনলেই দেশীয় অঙ্গনে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং সকল ইভেন্ট অর্গানাইজারও এব্যাপারে উৎসাহিত হবে । ধন্যবাদ ।
জনসংযোগ নিউজ / ২০-০৭-২০২০
desk@prnews1.com / fb.com - prnews1.com.bd
পাঠকের মন্তব্য