স্মৃতিচারণ ডেস্ক / জনসংযোগ.কম / ১১-০৭-২০২০
। এম আনিছুর রহমান ।
ছিলেন গণমানুষের নেত্রী, সততার উজ্জল দৃষ্টান্ত, ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নিবেদিত প্রাণ, মনের গভীরতা থেকে ভালবাসতেন মানুষকে, হৃদয়ের আকুলতা দিয়ে আগলে রাখতেন আওয়ামী নেতাকর্মীদেরকে, ছিলনা অর্থের মোহ, প্রভাবশালী নেত্রী হিসেবেও ছিলনা কোন অহংকার, ছিল শুধু আবহমান বঙ্গজনতার জন্য নি:স্বার্থ ভালবাসা । তাই তার শেষ বিদায়ে তাকে আজীবন স্বরণীয় রাখতে বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে পরম শ্রদ্ধেয় আপাকে “ নি:স্বার্থ বঙ্গমানবী “ উপাধিতে ভূষিত করে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি ।
এক নজরে এ্যাঢভোকেট সাহারা খাতুন
—————————————–
সাহারা খাতুন , বাংলাদেশের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি গেল তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন, ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ঢাকার কুর্মিটোলায়, তার বাবা আব্দুল আজিজ এবং মা তুরজান নেছা । ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকার স্বিদ্ধেশ্বরী গার্লস হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন, ১৯৬৭ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী মাধমে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন,এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে । রাজনৈতিক কাজের চাপে তিনি সব পরীক্ষা দিতে পারেননি, ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার আর আইন পড়া হয়ে উঠেনি, কিন্তু আইন পেশায় নিজেকে আত্ননিয়োগের জন্য ছিল তার অদম্য ইচ্ছা, অতপর তিনি তখন ভর্তি হন সেন্ট্রাল “ল” কলেজে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেই তিনি এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন । এরপর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের জুনিয়র হিসেবে তিনি আইন পেশা শুরু করেন, পরে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সদস্য হন । ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে অংশ নেন তিনি, ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা গঠন হলে সেখানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২মার্চ পতাকা উত্তোলনের দিন ও ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিন সাহারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে শহীদ জননীর সাথে কাজ করেন তিনি । এরশাদের শাষণ আমলে শৈরাচার বিরুধী আন্দোলন করায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাহারা খাতুন সহ মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৫ দিন জেলে ছিলেন সাহারা খাতুন । ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় আহত হন তিনি । তত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন নিজে রাজনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, এসময় তিনি আবারও শেখ হাসিনার সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন । ২০০৮ সালে ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দেশের প্রথম নাড়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও শপথ গ্রহণ করেন । সততা ও নিষ্ঠার সাথে চার বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন । ২০০৯ এর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী হয় বিডিআর বিদ্রোহ, সেসময় সাহারা খাতুন দু-পক্ষের দ্বন্দ ঠেকাতে সফল আলোচনা করতে সক্ষম হন, উক্ত বিদ্রোহে ৫৩ জন সেনা কর্মকর্তা ও ৩ জন সেনা পরিবারের সদস্য নিহত হন । ২০১২ সালে মন্ত্রীপরিষদের রদবদল হলে তিনি দায়িত্ব পান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের । ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে তিনি এক বছর দায়িত্ব পালন করেন, এসময় তিনি ভিওআইপি‘র অবৈধ ব্যবসা বদ্ধে জিরো টলারেন্স ছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন । তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আইন সচিব । তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য এতটাই নিবেদিত ছিলেন যে, বিয়ে পর্যন্ত করার সময় পাননি এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর ।
শ্রদ্ধাভরে স্মৃতিচারণ
—————————–
তৎকালীন ডিসিসি‘র ১নং ওয়ার্ড পর্যায় হতে সাংগঠনিকভাবে হাতেখরি হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগ রাজনীতিতে পদবীপ্রাপ্তী সহ নিয়মিত অংশগ্রহণ থাকলেও ২০০৮ সালের পরবর্তীতে মিডিয়াতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে যাই এবং এখনও অনিয়মিতভাবে হলেও উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ এর সাথে মিছিলে শ্লোগানে নিজেকে আত্ননিয়োগ করে থাকি । উত্তরার স্থানীয় রাজনীতিতে যাদের মাধ্যমে আমার হতেখরি হয় তাদের মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ এর বর্তমান বিজ্ঞান তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, জনাব সিউল কাদির ভাই এবং উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ এর বর্তমান দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জনাব মহি উদ্দীন মহি ভাই এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । পরবর্তীতে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগে যোগদানের সুযোগ করে দেন আমার শ্রদ্ধেয় দাদাভাই বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জনাব আতিকুর রহমান মিলন ভাই, যিনি বর্তমানে উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । বর্তমানে উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ এর সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই অত্র থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক, জনাব মতিউল হক (মতি) ভাইকে । তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনও সম্পৃক্ত থাকতে যারা আমাকে নিয়মিত প্রাণশক্তি যোগিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে সায়েম ভাই, রাসেল ভাই ও মনির ভাইয়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, জনাব হাবীব হাসান ভাই এবং আমাদের ছাত্র রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আফসার উদ্দীন খান ভাইকে, কারন তারা উভয়েই একনিষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ একাগ্রতা ও সততার সাথে সাহারা আপার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নি:স্বার্থভাবে তার পাশে ছিলেন । সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই সেইসব অদম্য নেতাকর্মীদেরকে যাদের ভালবাসার জন্য সাহারা আপা মৃত্যুকে জয় করে মৃত্যুঞ্জয়ী হতে পেরেছেন । সবশেষে শ্রদ্ধাভরে ধন্যবাদ জানাই গণতন্ত্রের মানসকণ্যাকে, যিনি সাহারা আপাকে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যথার্থ অর্থে মূল্যায়ন করেছেন এমনকি করোনাকালীন এই মহাদুর্যোগকালেও শত বাধা পেরিয়ে তিনি সাহারা আপাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে পাঠিয়েছিলেন ।
সাহারা আপার বিষয়ে স্মৃতিচারণ করতে গেলে সবার আগে উঠে আসবে তার সর্বশ্রেষ্ট গুণটির কথা আর তা হল- নেতাকর্মী বা দর্শনার্থীদের স্বাক্ষাৎ দেয়ার বিষয়টি । তার দরবার পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তার সাথে স্বাক্ষাৎ হবেই, এবার রাত যতই বাজুক , হওক না রাত ১২ টা ২টা বা ৩টা । এমনও সময় গেছে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত হয়ে ফজরের আযান দিচ্ছে, কিন্তু তিনি একের পর এক স্বাক্ষাৎ প্রার্থীদের সাথে কথা বলেই যাচ্ছেন, কোন ক্লান্তি নেই । বিষয়টি এমন নয় যে তিনি এরকম মাঝে মাঝে করতেন, বিষয়টি এমন যে তিনি তা সবসময়ই করতেন । এজন্য আমরা যখন কোন কাজে আপার বাসায় যেতাম তখন ম্যানটালি প্রিপারেশন নিয়েই যেতাম যে ফিরতে গভীর রাত হলেও হতে পারে, এমনকি হয়েও যেত ; একারনে দর্শণার্থীদের জন্য আপার বাসায় সবসময় হালকা থেকে ভারী খাবারের ব্যবস্থাও থাকত । তবে ভারী খাবারের ক্ষুধা লাগলে মুজিবর মামাকে কানেকানে চুপিচুপি বলতে হত, ব্যাস মূহুর্তেই ব্যবস্থা হয়ে যেত । মুজিবর মামা সম্পর্কে আপার ভাগ্নে হন, তিনিও আপার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তার পার্সনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন । অত্যন্ত সুনামের সাথে তিনিও তার দায়িত্ব পালন করেছেন । বিশেষকরে আপা যেকোন পেপারওয়ার্ক বা তদ্বীর করতে গেলে লাইন টু লাইন পড়ে তারপর স্বিদ্ধান্ত নিতেন, যার কারনে কোন ইনফরমাল আবেদন তার মাধ্যমে কখনই পাশ হতনা অর্থাৎ এই একটি বিশেষ কারনে কেউ চাইলেও তাকে দিয়ে তা করাতে পারতনা । পরবর্তীতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকলেও স্বরাষ্ট্র অঙ্গনে তার কমান্ড বা অনুরোধগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতই ছিল, সাবেক বর্তমান সকল স্বরাষ্ট্র কর্তাব্যক্তিগণ তাকে শেষদিন পর্যন্তও স্যার বলেই সম্মোধন করতেন এবং প্রতিটি কথা তার শ্রদ্ধাভরে পালন করতেন কারন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালীন সবাইকে ভালবাসা দিয়েছিলেন, কারো উপড় কোন অত্যাচার করেননি তাই সবাই তাকে তার যোগ্য মর্যাদা সবসমই দিয়েছেন । তিনি চাইলেই সীমাহীন অর্থ বিত্ত গড়ে তুলতে পারতেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রীর ভালবাসা এবং তার নিজ বিবেগ তাকে তা করতে দেয়নি । মৃত্যুকালে তিনি ফার্মগেটের সেই জীর্ণ পৈত্রিক বাড়ীটি ব্যাতিত আর কিছুই রেখে যেতে পারেননি । উত্তরার ৫নাম্বার সেক্টরের যে ফ্লাটে তিনি জীবনের শেষ কিছুদিন কাটিয়েছেন সেটিও তার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক উপহার স্বরুপ পাওয়া । সম্ভবত তার সেই শুভাকাঙ্ক্ষীর নাম যুবমহিলা লীগ নেত্রী খুকি আপা ।
শেষ করছি আপার সাথে আমার সরাসরি অনেকগুলো কর্মকান্ডের মধ্যে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে বলে । তিনি যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আমি তখন একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত ছিলাম । তার পাশাপাশি আমি টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ সহ বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতাম, এখনও তা করে থাকি । আমি তখন তাকে বিটিভিতে প্রচারের জন্য “ উদ্যোগ ও অর্জনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়” নামে একটি নিয়মিত ডকুমেন্টারি করার প্রস্তাব দেই । তিনি তা স্বানন্দে গ্রহণ করেন এবং এ বিষয়ে উনার তৎকালীন সরকারী পিএস জনাব ডক্টর রেজাউল হককে প্রধান ও আমাকে নির্বাহী করে একটি কমিটি করে দেন । ডক্টর রেজাউল স্যার বর্তমানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন । এরপর আমি এ বিষয়ে রেজাউল স্যারের নির্দেশনায় ২০০৮-২০১২ পর্যন্ত পুরো চার বছর খন্ডকালীন বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি । উল্লেখ করার বিষয়টি হল তিনি যখন মন্ত্রীভবনের দু তলায় নিজ ড্রইংরুমে বসিয়ে এ বিষয়ে অনুমোদন দেন তখন তিনি আমাকে ও আমার টিমের প্রত্যেককে নিজ হাতে মিষ্টি খাইয়ে উক্ত কার্যের শুভ উদ্ভোধন করে দেন । সেই ক্ষণটি আমাদের কাছে আজও স্বরনীয়, কেননা সেদিনই জীবনের প্রথম আমাদেরকে দেশের কোন চলমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজ হাতে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছিলেন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ীর মিষ্টি বলে কথা ! তাও যদি আবার মন্ত্রী স্বয়ং নিজ হাতে খাইয়ে দেয় এবং সেটাও যদি হয় জীবনের প্রথম কোন ঘটনা তাহলে তা অবশ্যই স্বরনীয়ই বটে । প্রকৃতপক্ষে এখানে মিষ্টি খাওয়ানোর আদলে তার আন্তরিকতাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অর্থাৎ তিনি এরকমই আন্তরিক ছিলেন । এছাড়াও একটি বিশেষ ব্যাপার হল- নিজের নেতা যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয় তখন অন্যরকম এক স্পৃহা, এক গভীর গর্ব অনূভূত হয়, তা কেমন হতে পারে তা কেবল সেইসব নেতাকর্মীরাই বুঝেন যাদের নেতা/এমপি এ যাবৎকালে তা হয়েছেন বা ভবিষ্যতে হবেন ।
পপসম্রাট শিল্পী আযমখান যখন দোরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তখন আমি এবিষয়ে একটি ডকুমেন্টারী তৈরির জন্য ৫ই মে,২০১১ তারিখে বেইলীরোডের মন্ত্রী ভবনে আপার স্বাক্ষাৎকার নিতে যাই । সেইদিনও আমার সিরিয়াল যখন এসেছিল তখন রাত ২:৫১ মিনিট । তিনি সেই সময় আমাকে এবিষয়ে ব্রডকাষ্ট স্বাক্ষাৎকার প্রদান করেন । এব্যাপারে ড. রেজাউল হক স্যার সহ সিউল কাদির ভাই ও মুজিবর মামা আমাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেছিলেন । তিনি পপ সম্রাটের চিকিৎসা বিষয়ক সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে এবিষয়ে বিশেষ কিছু আবেদনে ডোনেট এর জন্য রিকমান্ড করে দেন । তার এই রিকমান্ডের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অনেকেই গুরুকে আর্থিক সহযোগীতা করেন । বিশেষকরে তৎকালীন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জনাব লতিফ সিদ্দিকী তৎক্ষণাৎ আযমখানকে পাচঁ লক্ষ টাকা নগদ অনুদান প্রদান করেন ।
এবার প্রাপ্তী স্বীকারের মাধ্যমে ইতি টানছি । সাহারা আপা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নিজে কিছু না নিলেও দিয়েছেন অনেককে অনেক কিছু ; আবার আপার কাছ থেকে অধিকার বলে নিয়েছেন অনেকেই অনেককিছু ; আবার ত্যাগীদের মাঝে অনেকেই পায়নি অনেক কিছু ; আবার অনেকেই আছেন পেয়েও বলে পায়নি কিছু ; আবার অনেকেই হয়ত বলবেন হায় হায় চলেই গেলেন ; না হয় দিয়ে যেতেন আরও কিছু !!!! আমিও পেয়েছি কিছু কিছু । প্রধানত তিনি আমাকে দিয়ে গেছেন ডক্টর রেজাউল হক স্যারকে, যিনি আজও আমাকে সেই একই রকম স্নেহ করেন এবং এখনও আপার সুবাদে যথেষ্ট মূল্যায়ন করেন । সচিবালয়ে কোন কাজে গেলে স্যারের রুম এ এক কাপ চা পান হয়েই যায় সবসময় । ব্যক্তিগতভাবেও তিনি সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার বটে । আসলে যেকোন নেতা বা মান্যবরগণ যদি পিএস/এপিএস/পিআরও নিয়োগে ভুল করেন তাহলে সৎ ও নিষ্ঠাবান হওয়া স্বত্বেও তাকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রচুর খেসারত দিতে হয়, নানান কারনে । সাহারা আপা এদিক দিয়েও সকলের সেরা ছিলেন । তার শেষযাত্রা যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হয় এই কামনা করছি । আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুক । আমিন ।
jsongjugnews@gmail.com
fb.com - @jshongjog
পাঠকের মন্তব্য