জনসংযোগ প্রতিবেদন/গণমাধ্যম সংযোগ/চ্যানেল আই- ট্যু দ্য পয়েন্ট/১৫-০৭-২০২০
। এম আনিছুর রহমান ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে ক্ষমতা বেশী হচ্ছে যারা স্বাস্থ্যখাত চালায় অর্থাৎ মেডিকেল সাপ্লায়ার্স. সিন্ডিকেট ও কিছু ওষুধ কম্পানি, মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনে নেই এই খাত, ছিলওনা কখন । আজ আমাকে বলতে হবে এগুলো কারন আল্টিমেটলি জনগণের কাছে শেষ পর্যন্ত জবাবদিহি আমাদেরকেই করতে হয় । পলিটিক্স কে পলিট্রিক্স বানিয়ে দিয়েছে এই সাহেদরা । যদি আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জায়গায থাকতাম তাহলে আপনারা না ডাকলেও আমি অবশ্যই নিজে থেকেই এসে এসব ব্যাপারে জবাবদিহি করতাম, এবং জনগণকে সন্তুষ্ট করতাম আর যদি তা না পারতাম তাহলে খোদা হাফেজ বলতাম যদি আমার আত্নসম্মানবোধ থাকে । আমি একটি টেলিভিশনে এসব ব্যাপারে কথা বলার পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করার পরে আমি তাকে এভাবেই বলেছি, তিনি কখন বলেছিলেন আপনি এভাবে বললেন ? আমি তাকে প্রচন্ড রেসপেক্ট করি একজন বড় ভাই হিসেবে । আমি বললাম, বাঁচানোর ক্ষমতা আমার নেই, বাঁচানোর মালিক আল্লাহ, কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব হচ্ছে আমার আর সমগ্র দেশের মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব আপনার, তিনি তখন বললেন এখানে এখানে ভুল হচ্ছে, আমি বললাম তাহলে আপনি বললেননা কেন ? তিনি তখন আমাকে বললেন- আমি বলার ক্ষমতা রাখিনা । তখন আমি তাকে বললাম- দিস ইজ ইউর প্রবলেম । আমি তাকে এও বললাম যে, আপনি মনে করছেন আমি বললে আমার সংসদ সদস্য পদ চলে যাবে ? চলে গেলে যাবে বাট আমাকে বলতেই হবে ; সো ইউ ডু ইউর জব এন্ড আই এম ডোয়িং মাই জব । ষ্টেট বলে দিয়েছি তাকে । আমার নেত্রী আমাকে শিখিয়েছেন যে সাদাকে সাদা বল আর কালকে কাল । জনাব শামীম উসমান স্বাস্থ্যখাত ও মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্পর্কে গতকাল এভাবেই বলছিলেন চ্যানেল আইয়ের মেট্রোসেম টু দ্যা পয়েন্ট অনুষ্ঠানে । তার এই বক্তব্যের পরীপ্রেক্ষিতে উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন- মেডিকেল সাপ্লায়ার্স. সিন্ডিকেট ও কিছু ওষুধ কম্পানি সম্পর্কে আপনি যা বললেন যদি তাই হয় আর তাদের কোনভাবেই নিয়ন্ত্রন করা না যায় তাহলে মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও-ত কোন লাভ হবেনা কারন পরবর্তীতে যিনি শপথ নিবেন তারও-ত একই অবস্থা হবে, তাহলে সমাধানটা কোথায় ? ওষুধটা কি ? এর প্রতি উত্তরে তিনি বলেন মন্ত্রীই পারবেন, যদি তিনি তা চান । আমি তাকে বলেছি যদি আপনি চান-ত আপনিই কন্ট্রোল করতে পারবেন সবকিছু তখন তিনি আমাকে এসব বিষয়ে কিছু লজিক দেখালেন যা সত্য তখন আমি বললাম ওকে আপনি যখন একা পাচ্ছেননা তখন ডাকেন আমাদেরকে, সংশ্লিষ্ট আরও যারা আছেন ডাকেন তাদেরকে, আমরা সবাই মিলে বসে একটি পলিসি মেক করি, উই উইল ফাইট টুগেদার । আমরা সবাই ত পলিসি মেকার এন্ড একই আইডোলজিতে বিশ্বাসী, আমাদের কাজ-ত শুধু স্থানীয় জনপ্রতিধিত্বই নয় বরং আমাদের কলিগদের সাপোর্ট দেয়া সহ সারাদেশের দায়িত্বও আমাদের । আমি উনাকে এককভাবে দায়ী করছিনা কিন্তু সমস্ত দায় গিয়ে পড়ছে ভদ্রলোকের উপড় । দায় উনার একা নয়, এখানে সরষের মধ্যেও ভূত আছে আর এই সরষের মধ্যে যে ভূতটা সেটা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েই নয় বরং অনেক অনেক জায়গায় তা আছে । ফলে লাভবান হয় ৯০% অন্যান্য লোক আর ১০০% টার্গেট হয় পলিটিশিয়ানরা । তাই পলিটিশিয়ানদের শতভাগ টার্গেট করে লাভবানরা লাভের অংশ নিয়ে স্যুটেট বুটেট হয়ে অন্য জায়গায় বদলি হয়ে যাবে তা হবেনা । রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আক্ষেপ করে সংসদে বলেছিলেন যে দুর্ণিীতির এই গাছটা এত বড় মহিরু হয়ে গেছে যে একদিকে শিকর গারছি আবার অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ।
জনাব শামীম উসমান সবসময় স্পষ্টভাষী, সদালাপী ও বজ্রসাহসী । তিনি শুধু ষ্পষ্ট বলতে নয় বরং বলাতেও পছন্দ করেন । একজন মন্ত্রীকে সচরাচর এভাবে বলতে পারাটাও কিন্তু হালের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সহজ কিছু নয় । সবাই নিজ নিজ পজিশন খোঁয়ানের ভয়ে অনেক কিছু জেনেও না জানার ভান করে আবার বললেও ব্যালেন্স করে বলে আর ছন্দ হারায় । মূলকথা হচ্ছে- করোনার প্রাদুর্ভাবে সকল বিবেচনায় আমরা এইটুকু নিশ্চিত যে, এই দেশের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্ণীতি ছিল আছে এবং থাকবেই বরং এরইসাথে আমাদের ফাইট করে টিকে থাকতে হবে । যে দেশে দুতলা থেকে নীচতলা পর্যন্ত আসতেই বিশ টাকা দশ টাকা হয়ে যায় সেদেশের ভবিষ্যত কি হতে পারে, নিজ গৃহের কেয়াটেকারের ঘটানো এই ঘটনা বিষয়ে বলে বঙ্গবন্ধু শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আজ থেকে আরও চার যুগ আগে । তবে দুর্ণীতি নিয়ন্ত্রিত হউক বা না হউক অন্তত জনাব শামীম উসমানের মত যদি এভাবে স্পষ্টবলার চর্চাটাও এদেশে শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা ক্ষমতার দাপটের কাছে বাধা না পেয়ে বাধাহীনভাবে উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে খুব শিঘ্রই আমাদের দেশে একটি পরিবর্তন আসবেই, এই মর্মে দৃঢ় চিত্তে আশাবাদ ব্যাক্ত করা যেতে পারে ।
jsongjugnews@gmail.com
fb.com - @jshongjog
ধন্যবাদান্তে:
মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্ট, চ্যানেল আই ।
পাঠকের মন্তব্য