। ড. আতিউর রহমান ।
স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে বিশেষত গত এক দশকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অভিযাত্রা বিশেষ গতি পেয়েছে। এর ফলে একদিকে আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং অন্যদিকে এর সুফল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে সামাজিক পিরামিডের পাটাতনে বসবাসকারী প্রান্তিক নাগরিকদের মাঝেও। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতির বিস্ময়কর রূপান্তর নিয়ে নিশ্চয় আমরা গর্ববোধ করতে পারি। তবে এ কথা মানতেই হবে যে, উন্নয়নের সুফল দেশের সব জায়গায় সমানভাবে পৌঁছায়নি। কিছু কিছু স্থানে তাই দারিদ্র্যের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি রয়ে গেছে। এগুলোকে আমরা ‘পোভার্টি পকেটস’ বলে থাকি। দেশের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এমন পোভার্টি পকেটসগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। চরাঞ্চল ছাড়াও হাওর, উপকূল ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও এমন পকেট আছে। তবে চরাঞ্চলের আয়তন উল্লেখযোগ্য। সমুন্নয় পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে যে, মোট চরভূমির পরিমাণ আট হাজার বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি। চরাঞ্চল ছড়িয়ে রয়েছে দেশের ৩২ জেলার ১০০টি উপজেলায়। মোট চরবাসীর সংখ্যা আনুমানিক ৭০ লাখেরও বেশি। আগে থেকেই দেশের চরাঞ্চলগুলো বিভিন্ন আর্থসামাজিক সূচকের বিচারে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে ছিল।
হালের মহামারিজনিত অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় চরের মানুষগুলো আরও বেশি মাত্রায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। চরের পরিবারগুলো প্রধানত কৃষিজীবী। ফলে আংশিক লকডাউনে কিছু সময়ের জন্য কৃষিপণ্য চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় চরের কৃষক বেশ বিপদে পড়েছিলেন। অনেকে ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেননি। উল্টো নতুন করে ঋণ (বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক) নিতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয়, উপর্যুপরি বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়ার পরও তারা বিপদেই আছেন। চরে অ-কৃষি কর্মসংস্থান প্রায় অনুপস্থিত আগে থেকেই। তাই অ-কৃষি আয়ের জন্য তাদের অনেকে শহরাঞ্চলে প্রধানত অনানুষ্ঠানিক খাতে যুক্ত হন। মহামারির সময় সেই আয়ের উৎসও তারা হারিয়েছেন। অনেকেই এলাকায় বেকার হয়ে বসে আছেন। যারা শহরে ফিরে এসেছেন তাদের সবাই পুরোনো কাজ ফিরে পাননি। পেলেও আগের চেয়ে বেতন কম। মোট কথা, আগে থেকেই বঞ্চিত চরের মানুষ মহামারিজনিত অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় আরও বেশি মাত্রায় বিপদে পড়েছেন। পাশাপাশি সরকারি ও অ-সরকারি কর্মসূচির কল্যাণে চরে শিক্ষা বিস্তার, দারিদ্র্য নিরসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে যা কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছিল, সেগুলোও আমরা হারাতে বসেছি। কাজেই আজকে যখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কথা হচ্ছে, তখন নিঃসন্দেহে ওই পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় চরাঞ্চল বিশেষ অগ্রাধিকারের দাবি রাখে।
জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষত আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা এডিপিতে যেন চরের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ থাকে, এ জন্য এখন জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ ও মতবিনিময় চলছে। চর রয়েছে এমন জেলার জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তাদের ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন। আরও আশার কথা যে, চরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন সংসদ সদস্যরা এ জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। তাদের পক্ষ থেকে চরের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ প্রদান এবং চরের জন্য বাজেটে থোক বরাদ্দ ব্যয় নিশ্চিত করতে আলাদা চর ফাউন্ডেশন বা চর বোর্ড প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সহমত প্রকাশিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি যে উন্নয়ন সংস্থাগুলো কয়েক দশক ধরে চরাঞ্চলে কাজ করছে তাদের যৌথ অ্যাডভোকেসির মঞ্চ হিসেবে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স কাজ করছে। অ-সরকারি সংস্থাগুলো তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সহযোগিতা তারা করছেও। সরকারও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলেই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তবে চরাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী কার্যকর ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সরকারি ও অ-সরকারি উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্ধিষ্ণু ব্যক্তি খাতের অংশগ্রহণ একান্ত জরুরি বলে মনে করি। এ কথাও ঠিক যে, ইতোমধ্যে ব্যক্তি খাতের অনেক অংশীজন আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে শুরু করেছেন। এ কারণেই আমরা আশাবাদী হয়ে আরও বেশি মাত্রায় ব্যক্তি খাতের অংশগ্রহণ চাইছি।
ব্যক্তি খাতের অংশগ্রহণকে কেবল সামাজিক দায়বদ্ধতা তথা সিএসআরের জায়গা থেকে ভাবলে চলবে না। অবশ্যই আমরা চাই ব্যক্তি খাতের অংশীজনরা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে চরের পিছিয়ে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ান। তবে এর পাশাপাশি চরের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতেও ব্যক্তি খাতই সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি। চরের প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে পারলে কেবল চরের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে তাই নয়, বরং আমাদের ব্যক্তি খাতও লাভজনক ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। যেহেতু চরের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর, তাই চরে ব্যক্তি খাতের অংশগ্রহণের প্রশ্ন এলেই প্রথমে চরের কৃষির সম্ভাবনার কথা আসে। সেটা কাম্যও বটে। আমাদের এগ্রো-প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্র্রির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই কৃষির ভ্যালু চেইনে চরের মানুষকে যথাযথভাবে যুক্ত করতে হবে। আর এখানে ব্যক্তি খাতের ভূমিকাই হবে প্রধান। ইতোমধ্যে অ-সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে চরে ভুট্টা ও মিষ্টি কুমড়া চাষে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাদের গবেষণা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের চরাঞ্চলে আখ চাষের রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তারা জানিয়েছে, চরে যেসব স্থানে কাশবন হয় সেখানে খুব অল্প বিনিয়োগেই নতুন জাতের আখের উচ্চফলন নিশ্চিত করা যাবে। এই আখ থেকে মানসম্পন্ন গুড় তৈরি করা গেলে এবং তা যথাযথ প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে বাজারজাত করা গেলে দেশের অভ্যন্তরে পুষ্টিকর খাবারের সরবরাহ বাড়বে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে চরের কৃষিতেও নতুন গতি আনা যাবে। তবে কৃষির পাশাপাশি অ-কৃষি খাতেও চরের রয়েছে অনেক সম্ভাবনা। মনে রাখতে হবে, আমাদের গ্রামাঞ্চলে আয়ের ৬০ শতাংশই এখন আসে অ-কৃষি খাত থেকে।
কৃষি এখন শুধুই ফসল নয়। তার বহুমাত্রিকতা সবারই জানা। এসবের প্রসেসিং ও বাজারজাতের কারণে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের সরবরাহ চেইন। বেড়েছে দোকানপাট, পরিবহন, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স। তাই বাড়ছে অ-কৃষি আয়ের সুযোগ। কাজেই চরকেও ওই একই স্তরে আনার বিকল্প নেই। চরের মানবসম্পদকে যথাযথভাবে যদি কাজে লাগানো যায় তবে তা খুবই সম্ভব। প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন নিশ্চিত করা গেলে চরের উদ্যোক্তারা দেশের ব্যক্তি খাতের জন্য কার্যকর ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজের উল্লেখযোগ্য অংশীদার হয়ে উঠতে পারেন। চরে কৃষি ও অ-কৃষি খাতের বিকাশে অন্যতম প্রধান শর্ত হলো, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা। মানতেই হবে এ ক্ষেত্রে বিশেষত গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের পাশাপাশি বিভিন্ন অ-সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সৌরবিদ্যুৎও এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। ইতোমধ্যেই সোলার হোম সিস্টেম, সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং সোলার মিনি গ্রিড নিয়ে আমাদের বেশ কিছু সাফল্য এসেছে। ওই অভিজ্ঞতা থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের মাধ্যমে চরের অবকাঠামোগত সুবিধা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো সম্ভব হবে। আর এই বিকাশেও ব্যক্তি খাতের সেবাদাতারা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। সরকার ও অ-সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে কারিগরি সহায়তা দিতে পারে। এর ফলে চরের অর্থনীতির সবুজ বিকাশ ঘটাবে। আর বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে টেকসই কর্মসংস্থানের। পর্যটন (বিশেষ করে ইকো-ট্যুরিজম) চরের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। এখানেও ব্যক্তি খাতকেই এগোতে হবে। পর্যটন স্পট হিসেবে চরাঞ্চলগুলো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে, যদি পর্যটন উদ্যোক্তারা তাদের মূলধন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এ জন্য অবশ্য স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজকে জননিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। চরের মানুষের শ্রমিক হিসেবে প্রবাসে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের প্রবাসে যাওয়ার উপযোগী জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাত কার্যকর ভূমিকা রাখলে তা দীর্ঘমেয়াদে পুরো সামষ্টিক অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। চরের মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত প্রবাস-কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সিপ’ প্রকল্প থেকেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আমরা চরের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে ব্যক্তি খাতকে আরও সংবেদনশীল করতে দুটি ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গিয়েছিলাম দেশের উত্তর ও দক্ষিণ ভাগের দুটো চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তাদের মূল্যায়ন আমরা শুনেছি আগ্রহ ভরে। শুধু সামাজিক দায়বোধ থেকে নয়, তারা তাদের ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়ানোর অংশ হিসেবেও দেখতে চান চরাঞ্চলকে। তবে সে জন্য তারা চরে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির আশা রাখেন। আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান।
যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চরের মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পেতে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমাদের জরিপ থেকে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে চরবাসীকে অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। সময় লাগে আরও বেশি। কারণ কখনও জল এবং কখনও স্থলপথে ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। তাছাড়া উপযুক্ত যানবাহনও পাওয়া যায় না। চরের মানুষের কাছাকাছি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করতে পারে ব্যক্তি খাত। নূ্যনতম ব্যয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালনায় এগিয়ে আসতে পারে ঔষধ শিল্পের গ্রুপগুলো। চরের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিবেচনায় এবং সামাজিক দায়বোধের জায়গা থেকে স্বভাবতই আমাদের ব্যক্তি খাতের অংশীজনরা সেখানে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। তবে সেখানে তাদের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ (অর্থাৎ এনাবলিং এনভায়রনমেন্ট) তৈরির দায়িত্ব সরকারের। দেশের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এক ধরনের রিসোর্স ম্যাপিং করার মাধ্যমে ব্যক্তি খাতকে চরের সম্ভাবনা বিষয়ে আরও বেশি সংবেদনশীল করা সম্ভব বলে মনে হয়। এ ক্ষেত্রে ৩২টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা চর ভূমিগুলোর কোনগুলোতে কী ধরনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো ডকুমেন্টেশন করা যেতে পারে। কোথাও হয়তো আখ চাষের সম্ভাবনা প্রবল, কোথাও হয়তো গবাদি পশু লালন-পালন করা যেতে পারে ইত্যাদি। আর ভুট্টা, বাদাম ও প্রাকৃতিক সবজি চাষের বিপুল সুযোগের কথা নাই-বা বললাম। এই অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তারা তাদের চাহিদামতো প্রকল্প নিয়ে চরে হাজির হতে পারেন। এর পাশাপাশি চরের বিষয়ে ব্যক্তি খাতকে আগ্রহী করতে ওইসব এলাকায় কিছু ডেমোনেস্ট্রেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এসব প্রকল্পের আওতায় অল্প কিছু চরে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগে জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে কাজের উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়, যাতে বাকিরা তা দেখে এগিয়ে আসে। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন ব্যবস্থার সহযোগিতা খুবই জরুরি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের চরাঞ্চলের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে তা সব অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাস্তবে রূপ দেওয়া খুবই সম্ভব। সবাইকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা। নতুন বছর নতুন প্রত্যাশা নিয়ে আসুক সবার জন্য। দ্রুতই কভিড-১৯-এর দুর্যোগ কেটে যাক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
dratiur@gmail.com
৩০ ডিসেম্বর ২০২০- এ প্রকাশিত দৈনিক সমকাল অনলাইন থেকে সংগৃহীত ।
সংগ্রহে- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক / জনসংযোগ.কম
jsongjugnews@gmail.com
fb.com- @jshongjog