গণমাধ্যম সংযোগ । এম আনিছুর রহমান
@ Miraculous Interview একটি অলৌকিক বা অপ্রাকৃতিক সাক্ষাৎকার যার বিষয়বস্তুর সাথে জনসংযোগ নিউজের সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো মিল নেই। জনসংযোগ নিউজ এর ”গণমাধ্যম সংযোগ বিভাগ কালেভদ্রে এই ধরনের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে থাকে। এই ধরনের সাক্ষাৎকারগুলোতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আধ্যাতিক/অপ্রাকৃতিক মহোদয়গণ আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন এবং জনসংযোগ সম্পাদক প্রতিটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকেন।
সাক্ষাৎকারগুলোর প্রতি পর্বের আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেন স্বয়ং আমন্ত্রিত অতিথিগণ। তাঁরা যেসকল বিষয়ে আলোচনা করতে চায় শুধুমাত্র সেসকল বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় । জনসংযোগ সম্পাদক ইচ্ছাস্বাধীন বিষয় নিয়ে কোনো অপ্রাকৃতিক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেনা ; এমনকি কোনো সাবজেক্ট ক্রাইম” করা হয়না অর্থাৎ নির্ধারিত বিষয়ের বাহিরে ইনফরমাল আলোচনা করে কোনো অতিথিকে বিব্রত করা হয়না।
প্রতিপর্বে আমন্ত্রিত সকল অতিথিরা অবিমৃষ্যকারী বা Impolitic minded হয়ে থাকে। জনসংযোগ সম্পাদকের বিশেষ আমন্ত্রণে এধরনের সাক্ষাৎকারে নিয়মিত আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করতে যারা যারা সম্মতি জানিয়েছেন তাদের মধ্যে- (১) টম এন্ড জেরি, (২) গোপাল ভাঁড় ও (৩) নেকরে বাবু (ডায়ার উলফ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গণমাধ্যম ও নেকড়ে উদ্যোক্তা ‘’ বিষয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিতে আমাদের এই আয়োজনে প্রথম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন ডায়ার উলফ (বিলুপ্ত নেকড়ে)।
শুরুতেই নেকড়ে সম্পর্কে আমাদের অল্প যা কিছু জানা উচিত :
নেকড়ে সম্পর্কে মানুষের আতঙ্ক দীর্ঘকালের৷ তাই নেকড়ে মারতে দ্বিধা নেই অনেকের৷ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নেকড়েরা বুদ্ধিমান এবং সামাজিক প্রাণী, যারা অনেক প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে টিকে আছে৷ নেকড়ে দল খুব কঠোরভাবে নেতৃত্ব মেনে চলে। শিকার ধরার পর দলপতি এবং তার সঙ্গী প্রথমে খায়। তারপরে ক্রমান্বয়ে বাকিরা খাবারের ভাগ পায়। একা থাকলে তার বাকি সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং দলের সঙ্গে থাকলে অন্য দলকে তাদের সীমানা সম্পর্কে সাবধান করতে গর্জন করে। এরা শিকারের জন্য সময়ের বাছ-বিচার করে না। ছয় থেকে দশটি প্রাণী মিলে একটি দল গঠন করে। এরা সবাই এক সঙ্গেই শিকার ধরে। সুত্র-কলকাতা থেকে প্রকাশিত- “বাংলার শিকার প্রাণী” গ্রন্থ ।
নেকড়েরা তাদের সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে বলে কথিত আছে। তবে এটাও স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে ‘আলফা মেল’ নেকড়েদের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে । ডায়ার উলফ (Canis dirus, ভয়াবহ নেকড়ে) হচ্ছে Canis বর্গের একটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতি। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাগৈতিহাসিক মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম । ডায়ার উলফ লেট প্লাইস্টোসিন এবং আর্লি হলোসিন যুগে (১,২৫,০০০)বছর পূর্বে আমেরিকা মহাদেশে পদচারনা করে বেড়াতো। প্রজাতীর নামকরণ করা হয় ১৮৫৮ সালে, প্রথম নমুনা পাওয়ার চার বছর পরে। সূত্র- উইকিপিডিয়া ।
যাইহোক বিষয়ভিত্তিক এই লেখাটির জন্য নেকড়ে সম্পর্কে আপাদত এইটুকু জানাই যথেষ্ট হবে । তবে এই লেখাটির শেষে নেকড়ে বাবু তথা ডায়ার উলফ এর একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার রয়েছে যা লেখাটির যবনিকা টানার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছিল। চলে যাওয়া যাক উত্থাপিত মূল বিষয় প্রসঙ্গে –
[১] বর্তমানে অত্যন্ত হৃদয় বিদারক,অমানবিক ও অনৈতিক একটি কর্মকান্ড নিরবে নিভৃতে বয়ে যাচ্ছে এই বাংলার জাতীয় পর্যায়ে। যারা তা ঘটাচ্ছেন এবং যাদের সাথে তা ঘটছে তা কেবল তারা তারাই জানেন। তবে আরও দায়িত্বশীল অনেকেই জানেন কিন্তু উত্তাপ নেই তাদের মাঝে কারন যাদের সাথে ঘটছে ঘটনাগুলো তারা মুখ-লজ্জায় বা ব্যক্তি সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে চেপে যাচ্ছেন সবকিছু এই জন্য যে, তারা এই রাষ্ট্রজনতার মুখপাত্র, অবহেলীত জনতার পথপ্রদর্শক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরামহীন বজ্রকন্ঠ, তারাই আবার পরাজিত জনতার পুনর্জাগরণের বাঁশীওয়ালা, আবার তারাই বিজীত জনতার আনন্দভেলা, তারাই সেই খবরের ফেরীওয়ালা যারা পেশাগতভাবে কলম সৈনিক বা সাংবাদিক উপাধিতে পরিচিত । সেই সাংবাদিকতা থেকেই জন্ম নিয়েছে প্রজন্মের হলুদ সাংবাদিকতা বা অপসাংবাদিকতা; একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই কারন ঘটনা সত্য । তবে কথায় কথায় যারা অবিমৃষ্যকারীদের মত বলে ফেলেন যে সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বা দূর্ণীতি করছে বা নীতিহীন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে; তারা যদি তা বলার পূর্বে হলুদ/অপ কথাটি যুক্ত করে বলেন তাহলে তাদের বক্তব্যগুলো সঠিক বলে বিবেচিত হতে পারে অর্থাৎ সে সকল অনৈতিক কর্মকান্ড যারা করছেন তারা সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে হলুদ বা অপ সাংবাদিক। তাই সাংবাদিক ও হলুদ সাংবাদিক এই দুই পরিচয়ের মর্মার্থ বুঝে মন্তব্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীদের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে ।
[২] পুরো গণমাধ্যম জগৎটিই ছিল এক সময় গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এমনকি প্রায় সকল গণমাধ্যমগুলোর উদ্যোক্তাগণও ছিলেন গণমাধ্যম কর্মীরাই । কালের বিবর্তনে এখন বেশীরভাগ গণমাধ্যমের উদ্যোক্তা হিসেবে আগমন ঘটেছে বিভিন্ন রকমের ব্যবসায়ীর অর্থাৎ বর্তমানে আদার বেপারী থেকে শুরু করে জাহাজের বেপারীদেরকেও লক্ষ করা যাচ্ছে গণমাধ্যমের উদ্যোক্তা হতে; শুধুমাত্র চাকরির ক্ষেত্রগুলো রয়ে গেছে গণমাধ্যমকর্মী বা সংবাদকর্মীদের হাতে । কারন ব্যবসায়ীদের হাতে উদ্যোগ নেয়ার টাকা বা মূলধন আছে; আর সিংহভাগ সংবাদকর্মীদের উদ্যোক্তা হওয়ার টাকা নেই কিন্তু চাকরি করার মেধা বা যোগ্যতা আছে । তাই টাকা থাকলেই গণমাধ্যমের উদ্যোক্তা হওয়া যায় কিন্তু সাংবাদিক হওয়া যায়না কারন সাংবাদিক হতে হলে কিছু যোগ্যতা লাগে যা টাকা দিয়ে কেনা যায়না, কিন্তু টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের বেতনভুক্ত চাকরিজীবী বানানো যায়, যা এখন সে সকল বেপারীরা হরহামেশাই করছেন । এক সময় গণমাধ্যমে মেধাকে নিয়োগ দিয়ে সাংবাদিক বানানো হত আর এখন এই সকল বেপারীরা সেই সকল তৈরি সাংবাদিকদের নিয়োগ দিয়ে সাংবাদিক থেকে চাকরিজীবী বানিয়ে ফেলছেন এবং যতই দিন যাচ্ছে ঘটনাগুলো ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমে যাদের নতুন আগমন ঘটছে তারা বাধ্য হয়েই জীবিকার প্রয়োজনে সরাসরি চাকরিজীবী হয়ে যাচ্ছে, তাদের আর সাংবাদিক হয়ে চাকরিজীবী হওয়ার সুযোগ নেই। এই সুযোগ যাদের হয়েছিল তাদের বেশীরভাগই ইহলোক ত্যাগ করেছেন আর অল্প কয়েক মান্যবরগণ গণমাধ্যমকে এখনও শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন, একদিন তারাও ইহলোক ত্যাগ করবেন। সেদিক বিবেচনায় নিকটবর্তী ভবিষ্যতে গণমাধ্যমকর্মী বলতে যা বুঝায় তা আর থাকবেনা, থাকবে শুধুই গণমাধ্যম চাকরিজীবী যারা মালিকের তথা উদ্যোক্তার কথা মত লিখবেন বা রিপোর্ট করবেন আর তা না করলে যে কোন সময় ফায়ার হবেন। সবসময়ই তাদের মাঝে মালিকের কথামত না চললে চাকরি হারিয়ে পথে বসার ভীতি কাজ করবে মানে জৈবিক হয়রানি হবেন প্রতিনিয়ত, কারন তারা চাকরিজীবী তাই।
[৩] যে কোন ব্যবসায়ী যে কোন ব্যবসায়িক পণ্য বা বিষয় নিয়ে ব্যবসা করবেন, মুনাফা করবেন, এমনকি লোকসানও করবেন, আবার ঘুরে দাড়াবেন এটাই স্বাভাবিক, কারন বিষয়টি ফরমাল। যদি কোন উদ্যোক্তা কোন সেবামূলক বিষয়কে ব্যবসায় রপান্তরিত করে তার আয়ের প্রধান উৎস বানিয়ে ফেলেন এবং এমপ্লয়িদের সাথেও বৈষম্যমূলক আচরণ করেন তবে তাকে নেকড়ে ব্যবসায়ী বা নেকড়ে উদ্যোক্তা বলা চলে। উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী নেকড়েরা বুদ্ধিমান এবং সামাজিক প্রাণী, তারা অনেক প্রতিকুলতা মোকাবিলা করেও টিকে থাকে কিন্তু নেকড়ে আতঙ্ক থেকেই যায়। দেশের সেই নেকড়ে ব্যবসায়ীরাও সামাজিক ও বুদ্ধিমান বটে কিন্তু সেবামূলক খাত থেকে যথাযথ আয় না হওয়ায় তারাও এখন আতঙ্কিত উদ্যোক্তা হয়ে গেছেন । সেবামূলক খাতগুলোর ভিতরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম উল্লেখযোগ্য। একমাত্র সরকার চতুর্দিকে ভর্তুকী দিয়ে সরকারী সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর, হয়ত কালের শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্তও তাই করবে কিন্তু এই সরকারকেই আবার বোকা বানিয়ে সেবামূলক লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারী খাতের বহু উদ্যোক্তা মহোদয়গণ অবলীলায় ব্যবসা করে যাচ্ছেন ও মোটা অঙ্কের প্রফিটও হাকাচ্ছেন। বিশেষকরে: স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাত খেকে বিপুল পরিমাণ আয় করছেন উদ্যোক্তারা আবার বিষয়টি দেখে-শুনে-বুঝেও নীরব আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
[৪] তবে এর ব্যতিক্রম গণমাধ্যম খাত। এ খাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশী যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বাহির থেকে অনুধাবন করা সম্ভব নয় কিন্তু সম্মান, মর্যাদা এমনকি জাতীয় ক্ষমতার দিক থেকে আবার তারা নাম্বার ওয়ান-ই বলা চলে। সম্মান, মর্যাদা ও ক্ষমতা তাদেরকে বাহির দিক দিয়ে আলোকিত করলেও জৈবিক হয়রানিগুলো তাদেরকে ঘুনপোকার মত ভেতর থেকে খেয়ে ফেলছে। ফলে ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও তারা তাদের নৈতিক অবস্থান থেকে দূরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বা নেকড়ে উদ্যোক্তারা এ-ব্যাপারে তাদেরকে বাধ্য করছেন। অপরদিকে যে সকল মিডিয়া উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী বা ইন-হাউজ ব্যবসায়িক অবস্থান সন্তোষজনক বা ইন-হাউজ লস প্রজেক্ট হলেও অন্যান্য ব্যবসা থেকে সাপোর্ট নিয়ে ইন-হাউজকে ফরমালি গতিশীল রেখে তাদের নিজস্ব সংবাকর্মীদের জৈবিক হয়রানিমুক্ত রেখে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করছেন, সেই সকল সাহসী ও মিডিয়াপ্রেমী উদ্যোক্তারা দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ও স্যালুট এই জন্য যে- শুধুমাত্র তাদের জন্যই অদ্যবধি গণমাধ্যমের পরিবেশে অনেকটাই ডিসিপ্লিন বজায় আছে। তবে তাদের সংখ্যা বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকজন বা অতি অল্প সংখ্যক ফরমাল গণমাধ্যম হাউস চলমান আছে এই দেশে।
[৫] অন্যদিকে মন থেকে মিডিয়াপ্রেমী হওয়া স্বত্বেও ইন-হাউসকে সবসময় সাপোর্ট দেওয়ার মত অর্থনৈতিক অবকাঠামো যাদের সন্তোষজনক নয় তথাপি তারা গণমাধ্যমের উদ্যোক্তা হয়ে নিয়োগকৃত সংবাদকর্মীদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী নিয়মিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রণয়নে হিমশিম খাচ্ছেন বা ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা নিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বা এড়িয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন; তাদেরকে ইনফরমাল মিডিয়া উদ্যোক্তা বলা যেতেই পারে। সেইসব ইনফরমাল উদ্যোক্তাদের ব্যাকআপ সোর্স অব ইনকাম যাচাই না করে সরকারী অনুমোদন দেওয়াটাও এই ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের একটি ইনফরমাল পদক্ষেপও বলা যেতে পারে। এ সকল ইনফরমাল মিডিয়া উদ্যোক্তারা প্রথম সংখ্যা/প্রথম ব্রডকাষ্ট থেকেই প্রফিটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন কারন এ ছাড়া তাদের হাতে অলটারনেটিভ আর কোন ওয়ে নেই। শুরু হয় বিজ্ঞাপন বিভাগের উপর উপূর্যপুরী চাপ প্রয়োগ।
[৬] এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মকর্তাগণ; বিজ্ঞাপন দাতা তথা কর্পোরেট হাউসগুলোতে ভিজিটে গিয়ে বাধ্যগত ইনফরমাল পারসনালিটি বহন করা বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্রান্ড ইমেজের অপ্রতুলতার কারনে বিজ্ঞাপন সহযোগীতার প্রস্তাব দিতে না পেরে বিজ্ঞাপনী দয়া প্রদানের প্রস্তাব দিয়ে ফেলেন। তবুও তারা যথাসময় ইন-হাউজকে সন্তোষজনক গতিশীল করতে পারেননা। কারন বর্তমান কম্পিটিশন যুগের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি ভাবতে সহজ হলেও ভিশন বাস্তবায়ন এত সহজ নয়। এভাবে সেই হাউজে কর্মরত সংবাদকর্মীদের এক-দুই-তিন করে করে বহুমাসের বেতন-ভাতা বকেয়া পরে যায় এবং তারা প্রতিদিনই সম্মুখীন হতে থাকেন নিত্য নতুন জৈবিক হয়রানির। এক সময় সেই হাউজ দেউলিয়া হয়ে বন্ধ ঘোষিত হয় এবং মৃত্যু হয় আরও একটি স্বপ্নের। অত:পর বহু মাসের আটকে থাকা বকেয়া বেতন-ভাতা আর কখনই পাবেনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই আবারও চাকরি হারিয়ে পথের পাঁচালী হয় মেধাবীরা বা কলম সৈনিকরা । জাতীয় থেকে জেলা ও প্রান্তিক পর্যায়েও এই ঘটনাগুলো বর্তমানে দেশে একের পর এক ঘটে যাচ্ছে এমনকি বহু প্রখ্যাত জাতীয় সাংবাদিকগণও ধৈর্য হারিয়ে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে জৈবিক তাড়নার দায়ে খাঁটি ঘি,বাটার বা পিওর হলুদ মরিচের গুড়ার ব্যবসা শুরু করছেন যা কখনই কাম্য নয়, বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাও বটে ।
[৭] এ সকল ইনফরমাল গণমাধ্যম উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে দুটি পদক্ষেপের যে কোন একটি গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত: যাদের ব্যাকআপ সোর্স অব ইনকাম নেই অর্থাৎ যারা শুধুমাত্র ইন-হাউস প্রফিটের উপর নির্ভর করে হাউজ পরিচালনা করতে চায় বা মানসিকতা পোষণ করে তাদেরকে সরকারের উচিত এ বিষয়ে নতুন করে কোন প্রকার অনুমোদন না দেওয়া বরং তাদেরকে অন্যান্য লাভজনক ব্যবসার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে বিধি মোতাবেক সহযোগীতা করা। শুধু তাই নয় যারা ইতিমধ্যে এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে সরকারী অনুমোদন সংগ্রহ করে হাউস পরিচালনায় ব্যার্থ হয়ে চলমান সংবাদকর্মীদের জৈবিক হয়রানি করা সহ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেও দায় নিয়ে হেয়-প্রতিপন্ন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত; সে সকল প্রতিটি হাউজ সনাক্ত করে সরকারী অনুমোদন বাতিল করে দেয়া। তাহলে সংবাদপত্রে অনেকটাই শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তবে এ সকল ইনফরমাল হাউজের অনুমোদন বাতিল করলেও সরকারের উচিত হবে সেইসব হাউসের অধীনস্থ সকল সংবাদকর্মীর বকেয়া পরিশোধ করার পরে হাউস সিলগালা করে দেওয়া। এটি সংবাদকর্মীদের অধিকার বলা যেতে পারে, তাছাড়া ইনফরমাল উদ্যোক্তাদের না-জেনে না-বুঝে বা জেনে-বুঝে ঘুষ/নাজরানা খেয়ে সরকারী অনুমোদন দিয়ে গণমাধ্যমে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর দায় নিয়ে হলেও সরকারের উচিত হবে এ সকল ব্যাপারে বাধ্যতামূলক ভর্তুকি দেয়া।
[৮] দ্বিতীয়ত: সকল ইনফরমাল গণমাধ্যম হাউসগুলোকে ফরমালে রাপান্তরিত করার জন্য বিশেষ কিছু কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধুমাত্র কিছু অর্থনৈতিক সহযোগীতার অভাবে চলমান কোন গণমাধ্যম হাউসের নিবেদিত স্বপ্নের মৃত্যু ঘটবে এটা হতে পারেনা বা হতে দেওয়া উচিত নয়। যেহেতু গণমাধ্যম, গণমানুষের প্রধান সেবা দানকারী শিল্প সেহেতু এই শিল্পকে বাঁচানো ও প্রতিনিয়ত এই শিল্পের অগ্রগতির দিকে নজর রাখা সরকারের অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত। পাশাপাশি দেশের বেসরকারী প্রধান প্রধান প্রতিটি খাত থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদান এই শিল্প রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের দেয়া উচিত। এভাবে সরকারী ও বেসরকারী উভয় সেক্টরই গণমাধ্যমকে স্থিতিশীল রাখতে সম্মিলিতভাবে ‘‘জাতীয় গণমাধ্যম কল্যাণ ফান্ড’’ গঠন করতে পারে। এভাবে ইতিমধ্যে সরকার অনুমোদিত ও পরবর্তীতে নতুন অনুমোদন প্রাপ্ত ছোট-বড় যতগুলো গণমাধ্যম হাউজ আছে বা হবে সেগুলোর প্রত্যেক হাউজের জন্যই এই কল্যাণ ফান্ড থেকে একটি মাসিক অনুদান প্রদান করা হবে যেন চাহিদা মোতাবেক বিজ্ঞাপন না পেলেও সংবাদকর্মীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদানে ইন-হাউসে কোন অর্থনৈতিক জটিলতা তথা জৈবিক হয়রানি না থাকে। এ কথা অনস্বীকার্যে সত্য যে, যদি সংবাদকর্মীদের জীবনে জৈবিক হয়রানি না থাকে দেশে এমন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি/মহল নেই যে তাদেরকে লেখার স্বাধীনতা থেকে সরিয়ে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাবে।
[৯] ‘‘জাতীয় গণমাধ্যম কল্যাণ ফান্ড’’ গঠনের বিষয়টি সরকারের জন্য মোটেই কোন জটিল কার্য নয়, সরকার চাইলেই এক মূহুর্তেই এই স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাতীয় গণমাধ্যমকে চীর গতিশীল করতে পারে কিন্তু এর প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দেশের নেকড়ে গণমাধ্যম উদ্যোক্তা মহোদয়গণ অর্থাৎ যাদের বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সামর্থ থাকা সত্তেও সংবাদকর্মীদের জৈবিক হয়রানি করে থাকেন এবং ইদানিং এই কাজটি তারা একরকম জোট বেধেই করে যাচ্ছেন; এমনকি এ জন্য তাদের কোন ভ্রুক্ষেপও নেই। শুরুতেই নেকড়ে সম্পর্কে বলা হয়েছে নেকড়েরা বুদ্ধিমান এবং সামাজিক প্রাণী, যারা অনেক প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে টিকে থাকে এবং শিকারও করে জোট বেঁধে ৷ ঠিক তেমনি এই সকল উদ্যোক্তারাও অত্যন্ত সামাজিক ও নানান প্রতিকুলতা পেরিয়ে বিভিন্ন লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন এবং দেশ মাতৃকার অবকাঠামো নির্মাণেও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন সবসময়। তাদের নিয়ে সরকার ও পুরো দেশ গর্বিত কিন্তু এবার তারাও নিজ মালিকানাধীন গণমাধ্যম হাউসগুলোকেও লাভজনক করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
[১০] আশানুরুপ প্রফিট না হওয়ায় প্রায়ই তারা ইনহাউজ বেতন-ভাতা নিয়মিত দিচ্ছেননা এমনকি মাসের পর মাস বেতন-ভাতা আটকেও রাখছেন। এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা আপত্তি জানালে ফায়ার হওয়ার ভয়েও থাকছেন সে সকল হাউজের কর্মরত সংবাদকর্মীরা। তারা সম্পূর্ণ সামাজিক ও সম্মানিত হওয়া স্বত্তেও শুধুমাত্র তাদের গণমাধ্যম হাউসগুলোকে লাভজনক করার জন্য নিজেদের সম্মদ্ধে নেকড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছেন কর্মরত সংবাদকর্মীদের মাঝে । আর এভাবেই তারা দিন দিন ডায়ার উলফ (Canis dirus) বা ভয়াবহ নেকড়ে তে পরিণত হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে জনসংযোগ নিউজের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড লিডিং পর্যায়ের একটি সিনিয়র নেকড়ে তথা ডায়ার উলফ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিলুপ্ত স্থান থেকে পৃথিবীতে আসেন এবং এ বিষয়ে জনসংযোগ নিউজ কে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন। জনসংযোগ নিউজের পক্ষ থেকে তাকে “নেকড়ে বাবু” উপাধি দেওয়া হয়। পাঠকগণের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-
* জনসংযোগ সম্পাদক– প্রথমেই জনসংযোগ নিউজের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই অনেক অনেক লাল গোলাপ শুভেচ্ছা । আপনি কেমন আছেন ?
নেকড়ে বাবু- ভালই ছিলাম তবে আপনার এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যম উদ্যোক্তাদের একটি বিশেষ অংশকে আমাদের সাথে তুলনা করার বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। অবশ্য বিলুপ্ত এই প্রজাতিকে আবার স্মরণ করে পৃথিবীতে আগমন ঘটানোর জন্য জনসংযোগ নিউজ কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও সাদা গোলাপ শুভেচ্ছা।
* জনসংযোগ সম্পাদক– আশাকরি পুরো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের খোঁজ খবরও আপনারা রাখেন। বিষয় ভিত্তিক এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংবাদকর্মীদের জৈবিক হয়রানির বিষয়ে আপনার মতামত কি? এর থেকে পরিত্রাণের প্রধানত কি কি উপায় আছে বলে আপনি মনে করেন?
নেকড়ে বাবু- বর্তমান বিশ্বে বেশ আলোচিত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের খোঁজ খবর আমাদেরকে কষ্ট করে নিতে হয়না কারণ তা অটোমেটিক সামনে চলে আসে। আমি হিলারি ক্লিনটনের লিভিং হিষ্ট্রি পড়েছি। তিনি সেখানে বাংলাদেশকে দরিদ্র আর ঐশ্বর্যের একটি নগ্ন সহাবস্থানের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে বর্তমানে দেশটি উন্নয়ন ও লুটপাটের একটি আনপ্যারালাল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। তবে এইদিক থেকে আপনারা বেশ সৌভাগ্যবান যে, চলমান সরকারের আমলে লুটপাট হলেও উন্নয়নই হচ্ছে বেশীরভাগ। যদি দেশরত্ন ছাড়া দেশটি এত বছর অন্য যে কোন নেতার হাতে থাকত তাহলে পুরোটাই লুটপাট হত, ফলে দেশটি হয়ত এত দিনে বিশ্ব মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যেত। এই বিষয়টি আপনারা বুঝবেন তখন শেখ হাসিনা থাকবেনা যখন। তাই কিছু কিছু লুটপাট হলেও আপনারা নিজো মনে কোনরকম দ্বিধা না রেখে সানন্দে তা মেনে নিয়ে তাকেই বারবার নির্বাচিত করুন। এতে আপনারা পুরোটা না হলেও অনেকটাই ভাল থাকবেন; এটা আমার একান্ত পরামর্শ ।
বলছি সংবাদকর্মীদের জৈবিক হয়রানির বিষয়ে। একেক জন জাতীয় সাংবাদিককে একেক জন জাতীয় প্রফেসার বললেও ভুল হবেনা। তাদের পানে প্রতিদিনই পুরো জাতি চেয়ে থাকে সঠিক সংবাদ জানার জন্য কিন্তু তারা নিজেরাই যদি মানসিক অস্বস্তিতে থাকে তবে পুরো জাতিও অস্বস্তিতেই থাকবে, এ কথা সত্য। তাই সাংবাদিকদের মানসিক বা জৈবিক হয়রানি করা যাবেনা। এ জন্য অতিদ্রুত যথার্থ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী। এক্ষেত্রে সরকার হয়ত ইনফরমাল উদ্যোক্তাদের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে ফরমালে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে পারে কিন্তু আপনি যাদেরকে নেকড়ে উদ্যোক্তা আখ্যায়িত করেছেন তাদের ব্যাপারে সরকার কোন পদক্ষেপ নেবে না বা নেওয়ার কোন যুক্তিও নেই কারণ বিষয়টি হাস্যকর; এমনকি সরকারের জন্য অস্বস্তিকরও বটে। এর অন্যতম কারণ হলো তারা প্রধানত বিত্তশালী এবং দ্বিতীয়ত সরকার নিজেও অনেক ক্ষেত্রে তাদেরই উপড় নির্ভর করে থাকে।
শুধুমাত্র ইনহাউস প্রফিট হচ্ছেনা বলে তারা কর্মরত সংবাদকর্মীদের সময়মত বেতনভাতা প্রায়ই দিচ্ছেননা বিষয়টি শুনলে সরকার কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়, এতে সরকার উল্টো লজ্জিত হয় । সুতরাং আমি মনে করি সেইসব উদ্যোক্তাদের উচিত সরকারকে লজ্জা না দেয়া এবং নিজেরাও লজ্জা না পাওয়ার ব্যপারে উদ্যোগী হওয়া। জনসেবা খাত থেকেও প্রফিট আয়ের মানসিকতা থেকে তাদের সুস্থ মানসিকতায় ফিরে আসা উচিত অর্থাৎ “গণমাধ্যম, গণমানুষের প্রধান সেবা শিল্প-উদ্যোক্তাদের প্রধান আয়ের উৎস নয়” এই বিষয়টি তাদের প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করে অন্যান্য ব্যাকআপ সোর্স অব ইনকাম থেকেই গণমাধ্যমকে পরিচালনা করার স্থায়ী মানসিকতা গড়ে তোলা অতীব জরুরী, নয়ত হলুদ সাংবাদিকতায় পুরো দেশ আক্রান্ত হয়ে যাবে শীঘ্রই। এক কথায়- সঠিক সময় সঠিক খবর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে দেশ ও জাতি যার কিছুটা ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান।
* জনসংযোগ সম্পাদক– এক কথায় অসাধারণ বক্তব্য দিয়েছেন। তবুও একটি প্রশ্ন না করলেই নয় তা হচ্ছে- তারা ত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতিটি হাউস গড়ে তুলেছেন। মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছরও লোকসানের মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন প্রায় সবসময়; তবুও তারা ইন-হাউসগুলো চলমান রেখেছেন। কথা হচ্ছে- তারা এভাবে আর কত লোকসান দিবেন ? তাদেরও ত একটা সীমাবদ্ধতা আছে ? এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?
নেকড়ে বাবু- এটি আপনাদের ভুল ধারণা। মনে রাখতে হবে; যে কোন দেশের জন্য গণমাধ্যম হাউসগুলোই প্রধান জনসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে। এরকম প্রতিষ্ঠানগুলো ইন-হাউসে প্রফিটের মুখ তেমন না দেখালেও উদ্যোক্তাদের অন্যান্য ব্যবসায়িক সম্মৃদ্ধি বৃদ্ধি করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে এমনকি তাদের ব্যক্তি ইমেজেরও। শুধু তাই নয়; সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়েও তাদের মর্যাদা ও ক্ষমতার প্রভাব বৃদ্ধি পায়। “ক্ষমতা শুধু মানব অকাল্যাণেই ব্যবহার হয়না জনকল্যাণ করতেও ক্ষমতার প্রয়োজন হয়”। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন; যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গ্রুপগুলো যেদিন থেকে গণমাধ্যম হাউজ প্রতিষ্ঠা করেছে সেদিন থেকেই তাদের ব্যবসায়িক পরিধি উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে বেড়েছে তাদের সামাজিক মর্যাদা সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এছাড়া আরও বহু ধরণের ইতিবাচক ও নেতীবাচক প্রাপ্তিও আছে যা সবসময় চাইলেও বলা সম্ভব নয়। থাক না কিছু কথা পর্দার আড়ালে !
তাই যাদের শ্রম ও মেধাকে ব্যবহার করে তারা এত কিছু প্রাপ্ত হয় তাদেরকেই আবার শুধুমাত্র মন্দ ব্যবসার অযুহাত দেখিয়ে জৈবিক হয়রানি করাটা মোটেও সমীচীন নয়। তাদের এই পদক্ষেপগুলো আমার কাছে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হয়। এর মধ্যে প্রধাণত যা হতে পারে তা হল- যদি বেশ কয়েক মাসের বেতন-ভাতা আটকে রাখা হয় তাহলে ইন-হাউস সংবাদকর্মীরা আরো ভাল সুযোগ পেলেও সহজেই অন্যত্র সুইস করতে পারবেনা। সামর্থ থাকার পরেও এ ধরনের পদক্ষেপের অর্থ তাই মিন করে যা অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। দেশের জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাদের উচিত এ সকল ব্যাপারে আরও মনযোগী, সহযোগী ও সমব্যথী হওয়া। যাইহোক- আমাকে আজকের মত ছেড়ে দিন। আমাকে আমার বিলুপ্ত স্থানে ফিরতে হবে এখনই। এখনও পৃথিবীর মানুষ টের পায়নি যে আমি পৃথিবীতে এসে জনসংযোগ নিউজ কে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। এতক্ষণে হয়ত তারা জেনে গেছে আর সবাই এই দিকেই আসছে আমায় তাড়া করতে। আমি যাই এখন, আপনাকে ধন্যবাদ।
* জনসংযোগ সম্পাদক– শেষ একটি প্রশ্ন ছিল বাবু, যদি উত্তর দিতেন !!
নেকড়ে বাবু- এই হচ্ছে আপনাদেরকে নিয়ে সমস্যা। এতক্ষণ সময় দেয়ার পরও বলছেন আরও একটু সময় দিতে; এরপর হয়ত বলবেন আজকে না হয় থেকেই যান। দেখুন- সুযোগ পেলেই পেয়ে বসতে নেই, প্রত্যেকের সময়ের মূল্য আছে; তাছাড়া ব্যক্তি সিকিউরিটিরও একটি ব্যাপার আছে। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আমি দিলাম, আপনিও তা ছেপে দিয়ে নিজের ইমেজ বৃদ্ধি করালেন বা আপনার হাউসের সুনামও হল কিন্তু আমি-ত ফেঁসে গেলাম। আমার সিকিউরিটি কে দেবে ? আপনি ? কখনই তা দিতে পারবেননা। আমার সিকিউরিটি আমাকেই দিতে হবে তাই কিছু প্রশ্নের উত্তর নাইবা দিলাম! কেন আমাকে ইনফরমালি এ্যাটাক করছেন ? এটা সুস্থ সাংবাদিকতা নয় বরং এটাকেও নেকড়ে সাংবাদিকতা বলা যেতে পারে। শুধু নেকড়ে গণমাধ্যম উদ্যোক্তাই নয়; স্বল্পসংখ্যক হলেও পাশাপাশি নেকড়ে সাংবাদিকও আছে। উভয়েরই ফরমাল হওয়া আবশ্যক।
* জনসংযোগ সম্পাদক– আমি স্বীকার করছি আপনার শেষ কথাগুলো। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন বিলুপ্ত স্থানে, তবে দেশের প্রয়োজনে আবার স্মরণ করলে আসবেন আশাকরি। আপনার অতি মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
নেকড়ে বাবু- কথা দিতে পারছিনা তবে চেষ্টা করব। আপনাকেও ধন্যবাদ।
—————————————————————-
সম্পাদক ও প্রকাশক - জনসংযোগ নিউজ
jonosongjognews@gmail.com / fb.com- @prnews1.com.bd / Twitter - jonosongjognews / 01798288069
পাঠকের মন্তব্য