অর্থনীতি সংযোগ/জনসংযোগ.কম/সূত্র-দৈনিক কালের কন্ঠ/প্রকাশ-২৫জুন,২০২০
। কূটনৈতিক প্রতিবেদক ।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত হাটগুলো নিরাপদ ও আদর্শ হাট-বাজারের উদাহরণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বৃহস্পতিবার ভারতের সিইউটিএস ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্ডার হাটস: টুলস টু রিডিউস ইনফরমাল ক্রস বর্ডার ট্রেড বিটুইন ইন্ডিয়া এন্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে একথা জানান।
ড. আতিউর বলেন, গত মার্চ মাসে যখন প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তখন সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এখন সময় এসেছে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সতর্কতার সঙ্গে এ হাটগুলো আবার খুলে দেওয়ার। স্বভাবতই সীমান্ত হাটগুলোর ওপর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ অন্য সাধারণ হাট-বাজারগুলোর চেয়ে বেশি।
কাজেই সীমান্ত হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করা তুলনামূলক সহজতর হওয়ার কথা। আর এমন করা গেলে এই করোনার সময়ে সীমান্ত হাটগুলো নিরাপদ ও আদর্শ হাট-বাজারের উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ আলোচকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউটিএসের প্রধান নির্বাহী বিপুল চ্যাটার্জি।
আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দপ্তরের (ডিএফআইডি) এশিয়া অঞ্চলের ‘প্রোগ্রাম অ্যান্ড পলিসি ম্যানেজার’ মোহিত সিপ্পি, অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচি দত্ত, এবং বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। সিইউটিএসের পক্ষে অর্ণব গাঙ্গুলী ও বিজয়া রায় এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষে মূল নিবন্ধ উত্থাপন করেন রবার্ট শুভ্র গুদা।
আলোচকরা গত প্রায় এক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের ওপর বিশেষ করে সেখানকার নারী উদ্যোক্তাদের অবস্থার উন্নয়নে সীমান্ত হাটগুলো যে ভূমিকা রেখে আসছে তার ওপর আলোকপাত করেন। সীমান্ত এলাকার এসব মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সীমান্ত হাটগুলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করে খুলে দেওয়া দরকার বলে তারা মনে করেন।
ড. আতিউর বলেন, সীমান্ত হাটগুলো এক দিকে তৃণমূল পর্যায়ে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করছে, অন্যদিকে এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তার ফলে উপআঞ্চলিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার পরিবেশও জোরদার হচ্ছে।
তিনি বিশেষজ্ঞসহ সকল অংশীজনকে করোনার ফলে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার মাধ্যমে সীমান্ত হাটগুলোকে কিভাবে আরো টেকসই করা যায় তা নিয়ে ভাবার আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, করোনার মতো অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য অবিস্মরণীয় মাত্রার পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।
—————————————————————–
সূত্র- ২৫জুন,২০২০ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক কালের কন্ঠ থেকে সংগৃহীত/ সংগ্রহে- অর্থনীতি সংযোগ ডেস্ক/জনসংযোগ.কম
jsongjugnews@gmail.com / fb.com- @jshongjog / Twitter - jonosongjognews
পাঠকের মন্তব্য