সংযোগ কলাম / জনসংযোগ নিউজ / ২১-০৭-২০২০
। মাহাবুব হাসান কাবুল ।
জ্ঞানী,গুণী ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্মান এই বাংলায় সবসময়ই ছিল, এখনও আছে তবে ধরণ পাল্টে গেছে । বদলে গেছে তাদের সংজ্ঞা, পাল্টে গেছে তাদের জীবনচিত্র, অন্যদিকে সুশিক্ষার চেয়ে স্বশিক্ষার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সুশিক্ষার জন্য প্রয়োজন হয় সুশিক্ষকের আর স্বশিক্ষার জন্য নিজেই যথেষ্ট । নিজ জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই খুব কাছথেকে যেমন বঙ্গবন্ধু ও তার পুরো পরিবারের সান্নিধ্য পেয়েছি ঠিক তেমনি আমাদের মমতাময়ী হাসু আপার পরম আদর ও স্নেহে বড় হয়েছি । খুব কাছ থেকে দেখেছি একজন সুশিক্ষক কিভাবে তার শুভাকাঙ্খী ও রাজনৈতিক কর্মীবৃন্দকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে, অত:পর এও দেখেছি কিভাবে সেই সুশিক্ষিত জ্ঞানী,গুণী ও রাজনৈতিক নেতাদের সৌর্যে আলোকিত হয় জরাজীর্ণ অন্ধকার সমাজ । তিনিই আমাদের সেই শিক্ষক যাকে আমরা বঙ্গবন্ধু বলে হৃদয়ে ধারণ করি, আর হাসু আপা শুধু তার জেষ্ঠ কন্যাই নন তার প্রধান শিক্ষার্থীও বটে । কিছু জারঝ বাঙ্গালী সেনাদের দ্বারা ৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পরে এই হাসু আপাকেই আমরা আমাদের শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করি । সেই থেকে তিনিই আমাদের শিক্ষক আর আমরা তার দেয়া শিক্ষায় বেড়ে উঠা সুশিক্ষিত শিক্ষার্থী । মাঝখানে বহু বছর পেরিয়ে আজ আমরা প্রত্যেকেই প্রায় জীবনের শেষ লগ্নে অবস্থান করছি, এরই মাঝে তিনি চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এমনকি বর্তমানে বিশ্বনেত্রী হিসেবেও বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতিও অর্জন করেছেন।
কিন্তু মাঝখানের এই বহু বছর পারি দিয়ে তার বর্তমান সফলতার পেছনে রয়েছে বহু নিপীড়নের ইতিহাস, বহু নির্যাতন আর অবহেলার ইতিহাস । বিশেষ করে ১৫ই আগষ্টের পর পরই তিনি নিজ দলের নেতাকর্মী সহ নিজ শুভানুধ্যায়ীদেরও অমানবিক অবহেলার শিকার হয়েছেন দেশে, এমনকি দেশের বাহিরেও । যে বাঙ্গালীর ভাগ্য নির্মাণ করতে যেয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল সেই বাঙ্গালীর তৎকালীন দায়িত্বরত রাষ্ট্রীয় শীর্ষ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া দুটি বোনকে এভাবে যন্ত্রণা ও অবহেলার শিকার হতে হবে তা তারা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তখন এমন ভাবনাও এই দুটি বোনকে ভাবতে হয়েছিল তবুও তারা বাঙ্গালীকে ভালবেসেছেন আজও তেমনি বাসেন । কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিজেদের জীবন বাজী রেখে এই দুটি বোনকে বিদেশের মাটিতে আন্তরিক সহযোগীতা করেছেন তাদের মধ্যে মরহুম সাবেক স্পীকার শ্রদ্ধেয় জনাব হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী অন্যতম । অত:পর জীবনের পরোয়া না করে সেই অভাগা বাঙ্গালীর ভাগ্য পূণ:নির্মাণের জন্য ফিরে এলেন বাংলার মাটিতে । তখনও স্বার্থবাদীদের অধিকাংশই প্রাণভয়ে তাদের পাশে ছিলেননা, এত সহজে ডেকেও কাওকে পাওয়া যেতনা, সেই সময় যখন কেউ ছিলনা তার পাশে তখন ছিল বাবুল কাবুল । মাহাবুব হাসান বাবুল তিনি আমার বড় ভাই, বর্তমানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । ছিল আরেকজন অতন্দ্র প্রহরী মিসেস নাজমা আক্তার, যে আমার প্রাণপ্রিয় ছোট বোন, বর্তমানে সে যুব-মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, সে নবম জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য ।
আমাদের প্রতিটি ভাইবোন এর নিয়মিত খোজঁখবর রাখতেন তিনি এমনকি প্রত্যেকের বিয়ে পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে দিয়েছেন, মাঝখানে বহু বছর পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের প্রতি তার ভালবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি । এখনও যখন প্রায় সময়ই তিনি ঘরোয়া আলোচনায় আমাদেরকে সবার সামনে তার ভালবাসার ছন্দ বাণীতে তুলে ধরেন , গর্বে তখন বুক ভরে যায় । ব্যাস - আমরা এটুকুতেই খুশি । কিন্তু যারা এটুকুতেই খুশি নন, চাই চাই আরও চাই মূলত তাদের উদ্যেশ্যেই আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এইটুকু তুলে ধরলাম মাত্র । আমরা তার এতকাছে ছিলাম এবং এখনও আছি যে আমরা চাইলেই হাসু আপাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অঢেল সম্পত্তির পাহাড় গড়ে ফেলতে পারতাম । কিন্তু আমরা তা করিনি, কারন আমরা হাসু আপাকে চাই, ধন সম্পদ নয় । আমাদের মত এমন বহু শেখ হাসিনা প্রেমী আছেন যারা বিভিন্ন সময় জাতীয় প্রয়োজনে আপার স্বিদ্ধান্তের প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধা রেখে ত্যাগ করেছি বলেই আপনারা অনেকেই আজ এমপি, মন্ত্রী বা দেশ/বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি । আমরা কখনই দুর্নীতির চিন্তা মাথায় আনতে পারিনা কারন আমাদের চোখের সামনে প্রতিনিয়তই ভেসে উঠে শেখ হাসিনার সাথে আমাদের দিবানিশি সংগ্রামী পথচলার সেই ফেলে আসা দিনগুলো, যারা তার নিকটে থেকে তাকে দেখতে ও জানতে পারেনি তারা যখন তখন দূর্ণীতি করতেই পারে, অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়তেই পারে, তারা দলীয় কমিটিতে টাকার লোভে অনুপ্রবেশ ঘটাতেই পারে, তারা আওয়ামী লীগ ধ্বংসের চক্রান্তে জড়িত থাকতেই পারে, সংস্কারপন্থী হতেই পারে, এমনকি শেখ হাসিনার চেয়ারে বসার স্বপ্নও দেখতেই পারে ।
আবু জাহেলকে প্রিয় নবীজী যখন কোন দিক দিয়েই ধর্মে সামীল করতে পারলেননা তখন বলেছিলেন চাচা আপনি অন্তত একবার কালিমাটা পড়েন, আবু জাহেল বলেছিল, হে যাদুকর ভাতিজা তুমি কি আমাকে বোকা পেয়েছ ? আমি বলবনা । মূলত আল্লাহপাক আবু জাহেলদের ব্যক্তি গঠনগুলোই নির্মাণ করেছেন এভাবে যে তারা কখনই ধর্মের কথা শুনবেনা, অত্যাচারী মানোভাব তাদের থাকবেই । যদি পৃথিবী থেকে শয়তান চীরতরে নি:শেষই হয়ে যায় তাহলেত দুনিয়ার অবকাঠামোই পরিবর্তন হয়ে যাবে। যদি পৃথিবীতে মন্দ না থাকে তাহলে ভাল‘র অস্তিত্ব কি ? করোনার এই মহাক্রান্তিকালেও যারা চাল চুরি, তেল চুরি সহ নানান দূর্নীতি নিয়ে নিদ্রাহীন ব্যস্ত আছেন তারা ঘুরেফিরে সেই আবু জাহেলদেরই বংশধর বা খাস প্রতিনিধি । তারা কখনও শুধরাবেনা, বরং তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা যেতে পারে, আর এই কঠোর স্বিদ্ধান্ত গ্রহণের বেলায় নিজের দলের লোক হলেও শেখ হাসিনা কিন্তু কাউকেই ছাড় দেয়নি । এদের সংখ্যা খুবই সামান্য কিন্তু দেশের এক বৃহৎ অংশ যে যেভাবে পারছে অসহায় মানুষদের জন্যে আর্থিক ও সামাজিক সেবা করে যাচ্ছে । কিন্তু দেশের অনেক জ্ঞানী,গুনীজনদেরকেও দেখা যাচ্ছে সেই গুটি কয়েক খারাপ দূর্নীতিবাজদের নিয়েই খবরের কাগজ থেকে শুরু করে টকশো মাতিয়ে তুলছেন । সব শ্রেনীতেই একটি অংশ নেগেটিভ আছে এবং থাকবেই, এটাই সৃষ্টির লীলা, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা এভাবেই তার সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করেন । ধরুন বিধাতা অন্ধকার তুলে নিয়ে ২৪ ঘন্টাই সূর্যের আলো দিয়ে রাখলেন বা আলো তুলে নিয়ে ২৪ ঘন্টাই অন্ধকার দিয়ে রাখলেন, তাহলে কেমন হবে ? উত্তর- ঠিক তেমনটিই হবে যেমনটি খারাপ না থাকলে ভাল‘র ক্ষেত্রে হবে বা ভাল না থাকলে খারাপের ক্ষেত্রে হবে । সুতরাং যথাযথ ব্যবস্থায় খারাপ শনাক্তকরণ ও আইন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কিনা সেটাই মুখ্য বিষয় ।
দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে, দেশের মূল অর্থনীতির ধারাকে সচল রাখতেই সরকারকে সবার সাথে আলোচনা করেই ধীরে ধীরে লক ডাউন শিথিল করতে হচ্ছে । মাসের পর মাস লক ডাউন থেকে যেখানে ইউরোপ আমেরিকার মত দেশেও অর্থনীতির গতি থমকে গেছে সেখানে বাংলাদেশত একটি সদ্য স্বীকৃত মধ্যম আয়ের দেশ মাত্র । মাসের পর মাস ফুল লকডাউনের ফলে হয়ত অনেক বাঙ্গালী বেঁচে যাবে করোনার থাবা থেকে কিন্তু তার চেয়েও হাজারগুণ মারা যাবে পরবর্তীতে দুর্ভিক্ষে অনাহারে ; অন্যদিকে কর্মহীনতায় স্থবীর হয়ে যাবে সারা দেশ । তাই জন চাহিদার পরিপ্রেক্ষীতে লক ডাউন হয়েছিল আবার জন চাহিদার কথা বিবেচনা করেই লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে । এর কোনটাই সরকারের চাপিয়ে দেয়া কোন স্বিদ্ধান্ত নয় । প্রতিটি গোষ্ঠীর সাথেই পৃথক পৃথক/ সম্মিলিত আলোচনা করেই যেকোন জাতীয় স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । কেউ বা কোন গোষ্ঠী যদি নিজের জীবন বাজী রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় তবে এখানে সরকার বাধা দিবে কিভাবে ? আর যদি রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সরকার সেখানে বাধা দেয় তাহলে সরকারকে ভর্তুকী দিতে হবে । উন্নত দেশগুলোই এসব অনাকাঙ্খিত ভর্তুকী দিতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ এখন কি করবে ? ইদানিং দোকানপাট/শপিংমলগুলো সীমিত আকারে খুলে দেয়া হচ্ছে, আছে রমজান মাস ও মুসলিমদের ইদ সহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব, তাছাড়া দেশে এমনিতেই বেকারত্বের হার সীমাহীন, সেখানে যদি চলমান কর্মজীবীরাও কর্মহীন হয়ে যায় তাহলে করোনার থাবা থেকে বেঁচেও ত মরার উপড় খাঁড়ার ঘাঁ হয়ে যাবে । যদি এভাবে একে একে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা লস সামাল দিতে না পেরে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে দেওলিয়া ঘোষনা শুরু করতে থাকে তাহলে আমাদের এই দেশে বেঁচে থাকাটাই আরো বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে । এসকল কারনে করোনার ঝুঁকি বাড়লেও দেশে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি কমবে আশা করা যায় । দেশের ব্যবসায়ী মহল নিজেদের জীবন বাজী রেখে দেশের বৃহৎ স্বার্থে এই আত্নঘাতী স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে । কিন্তু এনিয়েও সমস্ত গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর দেখতে পাচ্ছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি ব্যবসায়ীদের কছে জিম্মী হয়ে গেছেন । প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল ব্যবস্থাপনা নাকি ভেঙ্গে পড়েছে, তার আশেপাশে নাকি সব নকল লোকের বসবাস, এমনকি তাকে সবাই ভুল বুঝাচ্ছেন, আর তিনিও নাকি বার বার ভুল বুঝেই যাচ্ছেন । তাদের কথায় মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর কোন বুদ্ধি বিবেচনাই নেই । ইদানিং এসব দেখেই স্বিদ্ধান্ত নিলাম আমরা যারা হাসু আপাকে অতি কাছ থেকে চিনি এবার আমাদের উচিত তাদের উদ্যেশ্যে কিছু বলা যারা শেখ হাসিনার মূল ধারাকেই চেনেনা । তাই এইটকু লেখার প্রয়াস করলাম আর কি !
বেইমানের অভয়ারণ্যের এই দেশে এতগুলো বছর ধরে মানুষের ভালবাসা নিয়ে ও রাজনীতির নিখুঁত পদচারণায় যিনি এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন তিনি নাকি জিম্মী হয়ে আছেন কোন এক গোষ্ঠীর কাছে ! তার নাকি জ্ঞান বুদ্ধি নাই ! এগুলো রুপকথার গল্প ছাড়া অন্য কিছুই নয়, তবে বলিষ্ঠ আওয়ামীলীগারদের পাশাপাশি প্রচুর হাইব্রীড আওয়ামীলীগারদের নগ্ন পদচারণা দলে বেড়ে গেছে এটা সত্য, আমরা এগুলোকে খ্যাতির বিরম্বনা হিসেবে ধরতে পারি এবং চাইলেই যেকোন সময় এদের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারি, তবে এখন সময় হয়েছে এদের বয়কট করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার ।
পরিশেষে বলতে চাই - মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের বাক স্বাধীনতা দিয়েছেন আপনারা টকশো তে বা অন্য যে কোন স্থানে নিজ নিজ লেবেল থেকে যা খুশি তা বলতেই পারেন, তিনি গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিয়েছেন তাই স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশন করতেই পারেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আরও বেশী মাপের জ্ঞানী ও গুনী যারা আছেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন, এমনকি যারা যারা শেখ হাসিনার চেয়েও নিজেকে যোগ্য মনে করেন তারা শেখ হাসিনার চেয়ারে বসার স্বপ্নও দেখতেই পারেন, কিন্তু চাইলেই জন্মগতভাবে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ শিক্ষার্থী হতে পারবেন কি ?
মূলকথা হচ্ছে- শেখ হাসিনার কাছে জন্মগতভাবে পাওয়া একটি বরদান আছে আর তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদ এবং সবশেষে স্বয়ং আল্লাহপাকের রহমত । তাই অন্তত শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলার পূর্বে একটু ভেবেচিন্তে,জেনেবুঝে বলুন । হয়ত বলার স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে তিনি এসব নিয়ে কিছু বলেননা বা প্রতি উত্তর সবসময় দেননা, কিন্তু মনে দু:খ ত পান অবশ্যই, যদিও দু:খে যার জীবন গড়া তার আবার দু:খ কিসের ? তবুও নব্য জ্ঞানী,গুণীদের প্রতি এটি আমার একান্ত অনুরোধ । যদি সবসময় আপনার কথাই ঠিক হত তাহলে আপনিই হতেন প্রধানমন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রী হতেন আপনার মত কেউ ।
কালের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষায় সুশিক্ষিত সেইসব জ্ঞাণী,গুণীদের বেশীরভাগই চলে গেছেন ইতিমধ্যে পরপারে, অবশিষ্ট আর অল্প কয়েকজন আছেন মাত্র । হয়ত নিকটবর্তী ভবিষ্যতে তারাও চলে যাবেন এক এক করে পরপারে। তাই আওয়ামী লীগ এর ভবিষ্যত নব্য জ্ঞাণী,গুণীদের হাতে সোপর্দ করতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই , আর থাকলেও তা আমার জানা নেই ।
শুনেছি জ্ঞানের নাকি তিনটি স্তর থাকে । যারা জ্ঞানের প্রথম স্তরে অবস্থান করে তারা অহংকারী হয় অর্থাৎ নিজেকে ছাড়া তারা অন্যকে প্রাধান্য দিতে জানেনা । যারা জ্ঞানের দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে তারা সরাসরি বিনয়ী হয়ে যায় অর্থাৎ বিনয়ী মনোভাবই হয় তাদের একমাত্র হাতিয়ার । পরিশেষে যারা জ্ঞানের তৃতীয় স্তরে পৌঁছাতে পারে তারাই কেবল নিজে কতটুকু কম জানে তা উপলব্ধি করতে পারে অর্থাৎ নিজেকে প্রকৃতভাবে আবিষ্কার করতে জানে । সেই অর্থে নব্য জ্ঞানী,গুণী মানেই হল জ্ঞানের প্রথম স্তরে অবস্থানকারীরা যারা শুধু আওয়ামী লীগই নয় বরং সমগ্র দেশের জন্যই হুমকি স্বরুপ । আমি প্রাণপণে এই মর্মে আশাবাদ ব্যাক্ত করি যেন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নিজ শিক্ষার সেই চিরন্তন প্রজ্বলিত আলো দ্বারা তার মৃত্যুর পূর্বেই সেইসব নব্য জ্ঞানী,গুণীদের জ্ঞানের তৃতীয় স্তরে পৌঁছিয়ে তাদের হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে যেতে পারেন ।
শেষ কথা- ভরসা রাখুন শেখ হাসিনার উপড়, আশাকরি তার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় সবশেষে বাংলাদেশই বিশ্বের বুকে নজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, ইনশাআল্লাহ । বাকীটুকু উপড়ওয়ালার ইচ্ছা । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা ।
লেখক- বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষাণুরাগী
নির্বাহী অধিকর্তা,
বাংলাদেশ তথ্য ও সংস্কৃতি মৈত্রী পরিষদ ।
desk@prnews1.com / fb.com - prnews1.com.bd / Twitter- jonosongjognews
পাঠকের মন্তব্য