অপরাধ সংযোগ/অল দ্যা প্রাইম মিনিষ্টার’স ম্যান/ফোর ষ্টোজেজ জার্নালিষ্ট/জনসংযোগ নিউজ/১২ফেব্রুয়ারী,২০২১
। অপরাধ সংযোগ ডেস্ক ।
[১] প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গানো সহ এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটানোর জন্য এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোদ সেনাপ্রধানের জবাবদিহি বাধ্যতামূলক। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সেনাপ্রধান এ বিষয়ে সরাসরি মতবিনিময় না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিষয়টির সঠিক কোন ব্যাক্ষা আসবেনা। তাই দেশের স্বার্থে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মান সম্মানের দিক বিবেচনা করে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের উচিত অচিরেই এ বিষয়ে ব্যাক্ষা প্রদান করা। নিজেরা নিজেদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাজানো বয়ান না দিয়ে আল জাজিরার এই প্রতিবেদনের নেপথ্যের চার প্রধান কারিগর তথা- ১. ডেভিড বার্গম্যান ২. নেত্র নিউজ এডিটর তাসনিম খলিল ৩. সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও ৪. আল জাজিরার ভাড়াটে সাংবাদিক সামি আহমেদকে কে সরাসরি কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ এডিটরস গিল্ডের সঙ্গে একসাথে বা পর্যায়ক্রমে জবাবদিহি করা উচিত। একইসাথে ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম ও সাংবাদিক ইলিয়াসকেও এ বিষয়ে ক্রস এক্সাম এর আওতায় আনা উচিত। খতিয়ে দেখা উচিত আল জাজিরার পেছনে এই বিশাল অঙ্কের অর্থ যোগানের মদদ দাতা হিসেবে তারেক রহমান, সাকা চৌধুরীর পরিবার ও মীর কাশেম আলীর পরিবারের ভূমিকা কতটুকু!! বিশেষভাবে খোঁজ নেওয়া উচিত এ বিষয়ের সন্দেহাতীত কার্যকরী মাষ্টার মাইন্ড ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে; যিনি তার জামাতা ডেভিড বার্গম্যানকে হাতিয়ার হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন এই বিষয়ে।
[২] ভুল শুধু রাজনীতিবিদরাই করবেন সাংবাদিকদের ভুল হবেনা বা জবাবিদিহি শুধু রাজনীতিবিদরাই করবেন, সাংবাদিকদের কোন জবাবদিহি থাকবেনা তা হতে পারেনা। সাংবাদিকতা শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীরাই জানেন আর দেশের জাতীয় সাংবাদিকরা সাংবাদিকতা জানেননা তা হতে পারেনা। আল জাজিরার এই হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে সরকার বা রাজনীতিবিদদের চেয়ে দেশী বিদেশী সাংবাদিকরাই লজ্জিত হয়েছেন সবচেয়ে বেশী। তাই দেশের সাংবাদিকদেরই এবার প্রমাণ করা উচিত যে শুধু আল জাজিরাতেই নয় বাংলাদেশও বিচক্ষণ ও আন্তর্জাতিক মানের সাংবাদিকগণ আছেন। শুধু তাই নয়, এবার তারেক রহমান বা বেগম জিয়া বা দেশের আরও স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতাকাল ও বর্তমান গতিবিধি নিয়ে ‘অল দ্য ফরমার প্রাইম মিনিষ্টার`স ম্যান’ প্রতিবেদন তৈরী করে আল জাজিরার প্রমাণ করা উচিত যে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিষ্টার`স ম্যান’ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিলনা।
[৩] কোন দাগী আসামীর যখন সকল আইনী পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন একমাত্র পথ থাকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া । যখন কোন আসামী এ ধরনের ক্ষমা চায় তখন তার অপরাধ স্বীকার করেই চায়। অনেক অপরাধী জানে তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাবেনা তবুও চায়। গণ হারে না হলেও অন্তত লাখে একটি হলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সাংবিধানিক এই ক্ষমতাটি ব্যবহার করে আইনটি চলমান রাখতে হয়। এখানে জোসেফের পক্ষে কেউ একবারের জন্যও সাফাই গাইছেনা যে সে অপরাধী নয়; কিন্তু সে অরাধের দায়ে দেড় যুগেরও বেশী সময় কারা ভোগ করেছে। এখন এইটুকু ক্ষমা সে চাইতেই পারে আর মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করতেই পারেন। দেশে বিদেশে এমন অহরহ হচ্ছেও। এমনত নয় যে মাত্র দেড় মাস কারাভোগের পরেই রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে মুক্তি দিয়েছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদের প্রতি আজো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে পারেনি। তিনি সরকারী ও বিরোধী উভয় দলেরই নির্ধিদায় সম্মানের পাত্র ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। সেই নির্ভেজাল মানুষটিকেও এই ন্যাক্কার জনক বিষয়ে যুক্ত করে তার মানহানি করা হচ্ছে। বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য গভীর উদ্বেগজনক।
[৪] এরচেয়েও আরো ভয়ানক উদ্বেগের বিষয় রয়েছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অর্থাৎ দলে অনুপ্রবেশকারীরা এবং দলের বাহিরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ থেকে বিতারিতরা। বিএনপি চক্রের তেমন কোন ক্ষমতাই নেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার; যদি-না অনুপ্রবেশকারী ও বিতারিতরা বিএনপিকে সহযোগীতা না করে। জীবনের বহু বছর দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বিধায় তারা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের অনেক দূর্বলতা জানে যেগুলোকে পুঁজি করে তারা বিএনপি জোটকে দিনকে দিন শক্তি যোগাচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বর্তমান নীতিনির্ধারকরা দলের ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে বা সুবিধা বঞ্চিত করে দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিতারিতদেরকে অধিক আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে দিনকে দিন দলকে অনেকটাই দূর্বল করে দিচ্ছেন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন এই একটি বিষয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ছাড়া বর্তমানে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের গর্ব করার মত আর বিশেষ কিছু নেই বললেই চলে। আল জাজিরার এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগকে পূণর্গঠিত করে আবার সেই চিরচেনা রুপে ফিরিয়ে আনা অতীব জরুরী নয়ত আল জাজিরা ভুল করতে করতে এক দিন-না একদিন সঠিকটা করে ফেলতে সক্ষম হয়ে যাবে। অন্তত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি জোট ও আল জাজিরা যৌথভাবে সবসময় একটিভ থাকবেই। বিষয়টি আওয়ামী লীগ পন্থী সকল নেতৃবৃন্দ, ভিআইপি ও মান্যবরদের সবসময় মাথায় রেখে দেশ বিদেশে মুভমেন্ট করা উচিত বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা ।
জ:/প্র:/১২-০১-২০২১
jsongjugnews@gmail.com / fb.com- @jshongjog / Twitter- jonosongjognews /
পাঠকের মন্তব্য