। কাজী গুলশান আরা।
সবাই খুব খুশী কারণ মুরাদ সাহেবকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অথচ এমন ভয়াবহ নারীবিদ্বেষী কথাবার্তা বলার পরও এবং প্রকাশ্যে একজনকে বিছানায় নিয়ে যেতে চাওয়ার পরও সমাজের কটা প্রাণী এটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেছে যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এসেছে?
সবাই ভয়ে ছিল! তাই সবাই চুপ ছিল!এমন একটা সিস্টেম যদি আমরা করে রাখি যে কারো পেটে খাবার না থাকলেও “তাঁর” হস্তক্ষেপ লাগবে কাউকে চরম অপমানিত করা হলেও শুধু “তাঁর” ই হস্তক্ষেপ লাগবে বিচারের জন্য ——— সেই বিচারের বাণী আসলে নীরবে নিভৃতে কাঁদে
ভয়ের রাজনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে? কেউ মুখ ফুটে দুটো কথা বলার সাহস পায় না, অত্যাচারিতের পাশে দাঁড়ানোর সাহস পায়না, এমনকি সত্যের দিকে তাকানোরও সাহস পায় না।
আজকে তিনি যদি এই দায়িত্বটা না নিতেন কারো বুকের পাটা হতো না নিজে থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করার। না পুলিশ না অন্য কারো।
শুধু তাই নয় সমাজ এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছে গেছে এরা যখন ৩/৪ বিয়ে করে ঘুরে বেড়ায়, ওই তিনটা চারটা বউও তাদের সাথেই কিন্তু ঘুরে বেড়ায় — অর্থের লোভ, ক্ষমতার লোভ, দম্ভের লোভ।
এরা যখন অন্য মেয়েকে হেনস্থা করে ধরা পড়ে, এক বউ থাকলে সেই এক বউও তার পাশে ঘুরে বেড়ায়। একই কারণ - অর্থের লোভ, ক্ষমতার লোভ, দম্ভের লোভ। সমাজ কি এদেরকে বহিষ্কার করতে পারে? রাষ্ট্র কি তাদের বিচার করতে পারে? পারেনা।
“তাঁর” হস্তক্ষেপ লাগে - বহিষ্কার করার জন্য
এটা কি গণতন্ত্রের সংজ্ঞা? না উন্নয়নের সংজ্ঞা? না অধিকার সংরক্ষণের সংজ্ঞা?
যে মেয়েটা কে অপমান করে কথাবার্তা বলেছিল সেই মেয়েটা পর্যন্ত ভয় প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেনি যতক্ষণ না পর্যন্ত “তাঁর” তরফ থেকে একটা সিদ্ধান্ত এসেছিল।
আমরা কি বুঝি কি অসহায় আমরা! সমস্ত প্রমান নিয়ে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় “তাঁর” সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের জন্য!!!
হাত বাধা, মুখ বাধা, বিবেক বাধা-
স্যালুট গণতন্ত্র!!
লেখিকা-
লেফটেনেন্ট (অব:)
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগ।
(৭ডিসেম্বর,২০২১ তারিখে প্রকাশিত লেখিকার ভেরিফাইড এফবি পেজ থেকে সংগৃহীত)
মপ:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য