। এম এ কাদির খান।
ইতিহাস থেকে পাওয়া-
সকল রাজাই পালানোর জন্য পেছনে একটা গোপন দরজা ব্যবহার করে গেছেন! সাধারণ মানুষের দরজা এক এবং অতিসাধারণ মানুষের চার দিকেই দরজা। তাঁদের পালানোর ভয় নেই।
জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন অতিসাধারণ মানুষ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ২ বার সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রথম বার ১৯৯৫ দ্বিতীয় বার ২০০৪ সালে। দু’বারই তিনি ক্ষমতার বাহিরে ছিলেন। বেশভূষায় তিনি সাধারণ। চলনে সাধারণ। ক্ষমতার দম্ভে তিনি নেই। এখানেও তিনি সাধারণ। মানুষ হিসেবে তিনি একেবারে অতিসাধারণ। সে’জন্যই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী ছাড়া সকলের মনে জায়গা করে মহিরুহ হিসেবে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ চলয়মান। যা একটিমাত্র গোত্র ছাড়া সবার চোখে দৃশ্যমান।
সুদীর্ঘ সময়ে শেখ হাসিনার ক্ষমতার অনেকগুলো আলোকিত সিদ্ধান্তের মধ্যে, একটি সিদ্ধান্ত মনের ভেতরে প্রশান্তির মোচর দিয়েছে, “ষাটোর্ধ্ব মানুষের জন্য পেনশন।”
ষাটোর্ধ্ব মানুষের জন্য পেনশন সুবিধার নির্দেশনা দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত বিশ্বে এটা চলমান। আমরা উন্নত বিশ্বের অন্যতম অংশীদার। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট একেবারে সতন্ত্র। এখানে আবেগ অনুভূতি আছে। আছে পিতামাতাকে নিগৃহীত করার করুন ইতিহাস। আছে কুশিক্ষিত সন্তান দ্বারা পিতামাতাকে লাঞ্চনা করার মর্মদায়ক পরিনতি। আবার সমগ্র বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো পারিবারিক বন্ধন এখানেই আছে।
অনেক অসহায় পিতামাতার মর্মবাণী, বেদনার নীলসূতা শেখ হাসিনাকে স্পর্শ করেছে। সে’জন্যই তিনি মানবতার জননী।
তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন ষাটোর্ধ্ব সকল নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার। নির্দেশনা আর আইন এক নয়। নির্দেশনা ক্ষমতার চেয়ারে আসীনটুকো সময়ে সীমাবদ্ধ। আইন চলন্ত। এমন পবিত্র চিন্তা যাঁর বিবেক হতে আসে, তিনি তা স্হায়ী রূপও দিতে পারেন।
মানবতার জননী, মানবতার কাজেই আছেন, এখানেই থাকবেন। প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরূপ মন্তব্যে খেই হারাবেন না, ধৈর্যচ্যুত হবেন না।
ষাটোর্ধ্ব সিনিয়র বটবৃক্ষকে যে মমতায় আগলে রাখার ইচ্ছে পোষণ করেছেন, ইতিহাস তা দীর্ঘকাল মনে রাখবে।
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সর্বোচ্চ সম্মানে আগলে রাখবেন।
জয় বাংলা।
লেখক-
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ
ঢাকা মহানগর উত্তর।
গু:নি:/জ:নি:
পাঠকের মন্তব্য